বাবুগঞ্জে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে জোর করে অন্যের সঙ্গে বিয়ের আয়োজনের ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে খাদিজা আক্তার (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রী। এ ঘটনা ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভূতেরদিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান বেপারীর বাড়ি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মা বাবার অনুপস্থিতিতে ছোট বোনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়নার ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করে খাদিজা। খাদিজা বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী এবং ভূতেরদিয়া গ্রামের মাহিন্দ্রা চালক মিজানুর রহমন ও সাহিদা বেপারী দম্পতির সন্তান। তিন ভাইবোনের মধ্যে খাদিজাই সবার বড়।
স্থনীয় একাধিক সূত্রে খাদিজার সাথে একই গ্রামের মিলন নামে এক তরুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল দীর্ঘ দিন যাবৎ। বিষয়টি তার অভিভাবকরা টের পেয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন বুধবার অন্যত্র বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে পারিবারিক আলোচনা চলছিল এবং গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ের চুড়ান্ত কথাবার্তা দিন ক্ষন নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু ওই প্রস্তাবিত বিয়েতে খাদিজা রাজি না থাকা সত্বেও তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার আয়োজন করেন তার পরিবার। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আব্দুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। খাদিজার পরিবারের সাথে কথা বলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক কিছুই বলা যাচ্ছে না।