বরগুনার তালতলী উপজেলার বেহেলা গ্রামে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে জোসনা রানী (৩০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে সুুকুমার বড়াল ও তার লোকজন। গুরুতর আহত জোসনা রানীকে স্বজনরা উদ্ধার করে মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে।
জানাগেছে, উপজেলার বেহেলা গ্রামের রবিন্দ্রনাথ বড়ালের সাথে নয় একর ছয় শতাংশ জমি নিয়ে চাচাতো ভাই সুকুমার বড়াল, ভগ্নিপতি নির্মলেন্দু হাওলাদারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। ওই জমি সুষ্ঠু বন্টনের জন্য রবিন্দ্রনাথ বড়াল আমতলী সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সুকুমার বড়াল ও নির্মলেন্দু হাওলাদার জোরপূর্বক জমি চাষাবাদ করে। এতে রবিন্দ্রনাথ বড়াল বাঁধা দিলে তাকে মারধর শুরু করে। স্বামী রবিন্দ্রনাধ বড়ালকে রক্ষায় তার স্ত্রী জোসনা রানী এগিয়ে যায়। এ সময় নির্মলেন্দু হাওলাদার, তার ছেলে নিখিল হাওলাদার, নিবির হাওলাদার, ও স্ত্রী আলো রানী, সুকুমার বড়াল ও তার ছেলে আশিষ বড়াল জোসনা রানীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, আহত জোসনা রানীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং সারা শরীরে রক্তাক্ত আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
আহত জোসনা রানীর স্বামী রবিন্দ্রনাথ বড়াল জানান, দীর্ঘদিন ধরে নয় একর ছয় শতাংশ জমি নিয়ে চাচাতো ভাই সুকুমার বড়াল, ভগ্নিপতি নির্মলেন্দু হাওলাদারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি নিয়ে আমি আমতলী সহকারী জজ আদালতে সুষ্ঠু বন্টনের জন্য মামলা করেছি। মঙ্গলবার সকালে জোরপূর্বক ওই জমি তারা চাষাবাদ করছিল। আমি এতে বাধা দিলে আমাকে মারধর শুরু করে। আমাকে রক্ষায় আমার স্ত্রী জোসনা রানী এগিয়ে এলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নির্মলেন্দু হাওলাদার মুঠোফোনে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, জোরপূর্বক কোন জমি চাষাবাদ করিনি।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।