
চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচায় গর্ভের বাচ্চাসহ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মহিউদ্দিন নামের এক কসাইর বিরুদ্ধে। মাঠে পরে থাকা সদ্য গরুর বাচ্চা দেখে স্থানীয়রা হৈ-চৈ শুরু করলে কসাই বাজার থেকে বিক্রি করতে নেয়া মাংস নিয়ে পালিয়ে যান। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ আইচা বাজারে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ আইচা বাজারের কসাই মহিউদ্দিন প্রতিদিনের মতো বাজারে মাংস বিক্রি করতে একটি গাভী গরু জবাই করেন। গরুর পেট থেকে বাছুর (বাচ্চা) বের হলে ওই বাচ্চাটি কসাই মহিউদ্দিন হাসপাতাল সংলগ্ন গরু জবাই করার স্থানের পাশে বালুর মাঠে ফেলে রাখেন। জবাই করা গরুর গর্ভ থেকে বের হওয়া বাচ্চাটি মাঠে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়দের হৈ চৈ শুরু হলে ওই মাঠে উৎসুক মানুষ ভিড় জমান। পরে বিষয়টি কসাই টের পেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে ভয়ে মহিউদ্দিন বাজার থেকে মাংস নিয়ে পালিয়ে যান।
দক্ষিণ আইচার বাসিন্ধা সোহেল জানান, কসাই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়ত রাতের আধারে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাসং বিক্রি করছেন। প্রশাসনকে জানিয়ে কখনও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত কসাই মহিউদ্দিন জানান, স্থানীয়দের বাধার মুখে ওই জবাই করা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। কোথায় থেকে গরু বাচ্চাটি এলো তার আমার জানা নাই। দক্ষিণ আইচা থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন ডেকে নিয়ে বিষয়টি সমোঝতা করে দিয়েছেন।
তবে কসাইকে ডেকে নেয়ার বিষয় অস্বীকার করে ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, এঘটনার ব্যবস্থা নেয়ার মোবাইল কোটের আমার কাজ নয়। কসাই আমার কাছে আসেনি।
উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন জানান,এসব বিষয়গুলো ভ্যাটনরিসার্জেরা দেখেন। এখানে তার করার কিছুই নাই।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মহফুজ অর রহমান জানান, যদি রোগাক্রান্ত বা গর্ভবতী গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল নোমান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।