
অবিশাষ্য হলেও সত্যি। ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চর কলমি ইউনিয়নের চর মায়া গ্রামে একটি একটি দেশি প্রজাতির মুরগীর বাচ্চার চারটি পা নিয়ে জন্ম হয়েছে । ওই গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিলন কাজীর স্ত্রী জরিনা বেগমের গৃহপালিত মুরগীর ডিম 'তা' দেয়ার পর চার পা নিয়ে মুরগী বাচ্চা জন্ম নেয়। তবে, বাচ্চাটি সম্পূর্ন সুস্থ্য সবল আছে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করছে।
ওই বাড়ির বাসিন্দারা জানান, দুইদিন আগে গত শুক্রবার চার পা নিয়ে ডিম থেকে একটি মুগরীর বাচ্চা ফুটেছে। প্রথম তারা বিষয়টি দেখতে পাননি। রোববার বিকালে বাড়ির উঠানে মুরগীর বাচ্চাটি মায়ের সাথে হাটতে দেখে ঘটনাটি তাদের নজরে আছে।
এঘটনা ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উৎসুক জনতা ওই মুরগীর বাচ্চা দেখতে কাজী বাড়িতে ভীড় জমিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্ধ জোবাইদা জানান, কিছুদিন পূর্বে ওই গ্রামের মিলন কাজীর স্ত্রী জরিনা বেগম তার বসত ঘরের ব্যক্তিগত খামারে গৃহপালিত মুরগীর ডিম থেকে ২০টি মুরগীর ডিম বাচ্চা ফোটানোর 'তা' দেন। এর মধ্যে ১৫ টি থেকে বাচ্চা ফুটে। কিন্তু ১৪ টি বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে দু'পা নিয়ে ফুটলেও একটি বাচ্চা চার পা নিয়ে জন্ম নেয়। এতে ওই পরিবারের লোকজন হতবাক হয়ে যান। এদিকে এখবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। চার পা বিশিষ্ট মুরগীর বাচ্চাটি দেখতে ভীড় জমান উৎসুক মানুষ।
তিনি আরো জানান, সাধারনত মুরগী বা মুরগীর বাচ্চার দুটি পা থাকবে। এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেই মুরগীর যদি চার পা হয়, তাহলে অবাক করা বিষয় হয়ে দাড়ায়। এমন ঘটনা চরফ্যাসনে প্রথম ঘটেছে বলে আমার মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলো জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, জেনিটিক ডিজঅর্ডার বা জিনগত ত্রুটির কারনে এমনটি হতে পারে। তবে এসব মুরগীর বাচ্চা তাদের স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা বেশী দিন বাঁচতে পারে না। মারা যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহন করতে পারলে বেঁচে যেতেও পারে।
আপনার মতামত লিখুন