চরফ্যাসনের স্কুল শিক্ষিকার পরিবারকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ফারুকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্কুল শিক্ষিকা জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন।
জানাগেছে,চরফ্যাসনের ১৯২নং উত্তর শশীভূষণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগম তার বাবা ইদ্রিস আলী, চাচা ইউনুছ মাঝি এবং চাচাদের থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক আলতাফ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন এবং কামাল হোসেন থেকে ৫টি দলিলমূলে বিভিন্ন সময়ে ৭৪ শতাংশ জমি সাব কাবলা ক্রয়সূত্রে মালিক হন। বিক্রেতাদের পূর্ববর্তী ভোগদখল অনুযায়ী নাজমা বেগম ২১৫ দাগে ৫৬ শতাংশ এবং ১৭২ দাগে ১৮ শতাংশ জমি ভোগ দখল করছেন। যার মধ্যে ২১৫ দাগের ৫৬ শতাংশ জমিতে শিক্ষিকা নাজমা বেগম পাকা বাড়িঘর ও পুকুর তৈরী করে বসবাস করছেন। পাশাপাশি ১৭২ দাগের ১৮ শতাংশ জমি নাল। শশীভূষণ থেকে চর কলমী মোড়ের সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে এই জমির অবস্থান। দক্ষিণ পাশের ১৮ শতাংশ জমি নাল হলেও উত্তর পাশের ৫৬ শতাংশ জমি সংলগ্ন এলাকায় নাজমার পাকা বাড়িঘর, স্থানীয় জামে মসজিদ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে। রাস্তার এপাশে ওপাশে পাশাপাশি জমির অবস্থান হলেও সামাজিক অবকাঠামো গড়ে উঠায় উত্তর পাশের ২১৫ দাগের ৫৬ শতাংশ জমির বাজার মূল্য তুলনামূলক ভাবে অনেকগুণ বেশী। ফলে ওই উত্তর পাশের জমির হিস্যা নিয়ে ওয়ারিশগণের মধ্যে বিভক্তি এই বিরোধের মূল কারণ বলে জানাগেছে।
নাজমা বেগম অভিযোগ করেন, বাবা ইদ্রিস আলীসহ মৃত দাদা এছাহাক আলীর ওয়ারিশ কিংবা ওয়ারিশগণের থেকে ক্রয়সূত্রে মালিকদের থেকে ক্রয় করেই তিনি ওই জমির মালিকানা অর্জন করেছেন এবং এই ৭৪ শতাংশ জমি তার নামে দিয়ারা রেকর্ড অকিংত হয়েছে। তার স্বজনদের মধ্যে চাচাতো ভাই ফারুকসহ একটি চক্র জমি থেকে তাকে উচ্ছেদের ষঢ়যন্ত্র করছে, হুমকী-ধামকী দিচ্ছেন। ফলে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।
শিক্ষিকা নাজমা বেগমের অভিযোগের বিষয়ে তার চাচতো ভাই মো.ফারুক মাঝি জানান, নাজমা বেগম বিভিন্ন দাগে ৭৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। কিন্ত তিনি ২১৫ দাগে ৫৬ শতাংশ ভোগদখল করলেও ওই দাগে বিক্রেতাদের ওই পরিমান জমি নেই। ফলে বিক্রিতাদের ঘাটতি জমি নাজমা বেগমকে অন্যান্য দাগ থেকেই বুঝে নিতে হবে। কিন্ত নাজমা বেগম অন্যান্য দাগে যেতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এতেই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
শশীভূষণ থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।