
চরফ্যাসনের দুলারহাটের নীলকমল ইউনিয়নে বসত ঘরে পিছনের দরজা ভেঙ্গে দূধর্ষ চুরির সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের চর নুরুল আমিন গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বেলায়েত তালুকদারের বাড়ির বিধবা রুনা বেগম রুমার বসত ঘরে চুরির এঘটনা ঘটে। চোর চক্রের সদস্যরা তার ঘরে থাকা ৭০ হাজার টাকা, সোনার চেইন, হাতের বালা, কানের দুলসহ প্রায় ৩ লক্ষটাকার মালামাল নিয়ে যায়। ঘটনার পরপর রাতেই দুলারহাট থানা পুলিশ সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে চোর চক্রের তিন সদস্য রুনা বেগমের প্রতিবেশী মনির, আব্বাস এবং ফয়েজ উদ্দিন নামের তিন যুবককে আটক করেন। থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার রাতে রুনা বেগম রুমা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর পুলিশ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছেন।
মামলার এজাহার ও গৃহবধু রুনা বেগম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি তার নিজ বসতঘরের বিছানার বালিশের নিচে নগদ ৭০ হাজার টাকা,সোনার চেইন, হাতের বালা, কানের দুল রেখে অসুস্থ স্বজনকে দেখতে পাশের বাড়িতে যান। এসময় তার বসত ঘর সংলগ্ন রাস্তায় মনির, আব্বাস এবং ফয়েজ উদ্দিন নামের যুবক আড্ডা দিচ্ছিলেন। তিনি তার বসত ঘরের দরজায় ছিটকিনী লাগিয়ে চলেন যান। ফিরে এসে তার ঘরের পিছনের দুইটি দরজা খোলা দেখেন। ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরে চোর ঢুকেছে এমন তার সন্দেহ হলে তিনি তার রেখে যাওয়া টাকা ও সোনার গয়না খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে তিনি ডাকা চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ গৃহবধুর ঘরের পাশের আড্ডারত তিন যুবককে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
দুলারহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান, তিনজনকে আটক করে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে গৃহবধুর চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্ত আটককৃত ওই যুবকরা জিজ্ঞাসাবাদে চুরির দায় স্বীকার করেননি। তাই কোন সমাধানে যেতে না পারায় বাদি রুমা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা নিয়ে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।