পূর্বশত্রুতার জের ধরে চাচাতো খালার দায়ের করা মামলায় ভাগিনা মনিরসহ ৩জনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেছেন খালা রুমা বেগম। গত বুধবার রাতে দুলারহাট থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের আগেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনজনকে সন্দেহজনক ভাবে বাড়ি থেকে আটক করে দুলারহাট থানা পুলিশ। দুই দিন থানায় আটক রেখে চুরির দায় স্বীকার করাতে ব্যর্থ হয়ে মামলার আসামী করে বৃহষ্পতিবার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
কিশোর মনিরের মা রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, পেশায় কৃষক ছেলে মনির দিনভর ক্ষেতে কাজ শেষে সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে। সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় দুলারহাট থানা পুলিশ বাড়ি থেকে মনির, নাতি আব্বাস ও প্রতিবেশী ফয়েজ উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীর রুমা বেগমের বাড়িতে চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সন্দেহজনক ভাবে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকালে আটক স্বজনদের দেখতে ও ছাড়াতে মা রোকেয়া বেগম, ভগ্নিপতি বেল্লাল এবং খালা আরজু বেগম থানায় গেলে তাদেরও আটক রাখা হয়। বুধবার সারাদিন মা ভগ্নিপতি এবং খালাকে আটক রেখে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হয়। এই তিনজনকে ছেড়ে দিয়ে বুধবার রাতেই মনির, আব্বাস এবং ফয়েজ উদ্দিনকে আসামী করে থানায় চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বৃহষ্পতিবার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে রুমা বেগম দাবী করেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বসতঘরের বিছানার বালিশের নিচে নগদ ৭০ হাজার টাকা রেখে প্রতিবেশীর ঘরে যান তিনি। এসময় ভাতিজা মনিরসহ অপর দুই আসামীর তার বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ করে বিছানার নিচ থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং ঘরে থাকা বেশকিছু গহনা নিয়ে যায়। রুমা বেগমের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ৮টায় দুলারহাট থানা পুলিশ মনিরসহ তিনজনকে আটক করে।
দুলারহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন, জানান, তিনজনকে আটক করে থানায় রেখে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন সমাধানে যেতে না পারায় বাদি রুমা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা নিয়ে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মনিরের মা রোকেয়া বেগম জানান, একই বাড়িতে মনিরের পারিবার এবং রুমা বেগমের পরিবার বসবাস করেন। বাড়ির বাগানের অংশ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলমান আছে। বিরোধের প্রতিপক্ষ মনির পরিবারকে জব্দ করতে চুরির নাটক সাজিয়েছে রুমা বেগম।