চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ঘাটের লেবার মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ঘোষেরহাট থেকে ঢাকা ও দশমিনা রুটে যাতায়াতকারী লঞ্চের যাত্রীদের জিম্মি করে যাত্রীদের ব্যবহৃত মালামাল নামানোর অজুহাতে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে হাতিয়ে নেন মহিউদ্দিন। তার দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে যাত্রীদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে।
ভূক্তভোগী যাত্রীরা অভিযোগ করেন, জৈনক মহিউদ্দিন ঘোষেরহাট লঞ্চঘাটে লেবার শ্রমিকের কাজ করেন। যাতায়াতকারী যাত্রীদের ব্যাক্তিগত ব্যবহৃত কাপড়ের ব্যাগ নিজেদের বহন করা মালামাল আটক রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেন।
ঘোষেরহাট থেকে ঢাকা, বরিশাল ও দশমিনা আসা যাওয়া যাত্রীরা ঘাটে তাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মহিউদ্দিনসহ তার অপর লেবারদের হাতে লাঞ্চিতের শিকার হন অসংখ্য যাত্রীরা। নিয়মবহির্ভূতভাবে ইজারাদারের টোলের বাহিরে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করায় ক্ষুব্দ যাত্রীরা ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালে কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
দশমিনা থেকে আসা যাত্রী নাজিউর জানান, দশমিনা থেকে একটি ফটোকপি মেসিন লঞ্চে যোগে ঘোষেরহাট ঘাটে নিয়ে আসলে ওই ফটোকপি মেসিন তিনি নিজে বহন করে লঞ্চ থেকে নামিয়ে বোরাকে উঠানোর সময় মহিউদ্দিন ঘাট টোলের নামে ৫শ’ টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে লাঞ্চিত করবে এবং মেসিন নিতে দিবেনা বলে হুমকি দেন। পরে তার দাবীকৃত ৫শ’ টাকা পরিশোধ করে ফটোকপি মেসিনটি ছাড়িয়ে আনেন।এছাড়াও রিপন সিং, মহিম,রাসেল, সালেহা, মোহাম্মদ আলীসহ অসংখ্য যাত্রী তাদের মালপত্র বহন করতে গেলে মহিউদ্দিনের দাবীকৃত অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে লাঞ্চিত হয়েছেন। তার চাহিদাকৃত টাকা দিয়ে মাল পত্র ছাড়িয়ে আনেন তারা।
অভিযুক্ত ঘাট লেবার মহিউদ্দিন এসব ব্যপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঘাট ইজারাদার মো: কাজল মেম্বার জানান, মহিউদ্দিন ঘাটের ইজারাদারের পাক্ষের কোন লোক না। তিনি ঘাটের শ্রমিক। তার বিরুদ্ধে এক যাত্রী অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খাতিয়ে দেখা হবে।
ভোলা নদী বন্দরের কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান,ভূক্তভোগী যাত্রীদের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।