চরফ্যাসনের আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে পুলিশকে সহায়তা করায় মোঃ খাইরুল(২৫) নামের এক যুবকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাদক মামলার আসামীর বাবা সুলতান মীরের বিরুদ্ধে। মারধরের গুরুতর আহত যুবককে স্বজনরা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানাগেছে। এঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে আহত যুবককের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে হামলাকারী সুলতান মীর ও তার ছেলে শামিমসহ দুই জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হাজারীকান্দি চৌরাস্তায় এই হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবক খাইরুল ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ ফারুক ডাক্তারের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের সুলতান মীরের ছেলে শামিম মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকায় সম্প্রতি সময়ে চরফ্যাসন থানা পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। চরফ্যাসন থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত শামিমের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করেন। জামিনে বের হয়ে শামিম দীর্ঘদিন যাবত পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী করেন। গত শনিবার চরফ্যাসন থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে আসামী শামিমকে ধরতে পুলিশকে সহায়তা করেন যুবক খাইরুল। এতে ক্ষিপ্ত হন মাদক মামলার আসামীর বাবা সুলতান মীর। বৃহস্পতিবার বিকালে চরফ্যাসন থেকে ঢালীরহাট তার বাবার মালিকানাধীন দোকানে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা মাদক মামলার আসামী শামিমের বাবা সুলতান মীর গতিরোধ করে তার ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এতে যুবক খাইরুল গুরুতর আহত হয়ে পরলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। হামলার পরপরই ক্ষুব্ধ মাদক মামলার আসামী পরিবারের অব্যহত হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত সুলতান মীর এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, যুবককে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।