বরিশালের বাবুগঞ্জে ঈদ ঊল আজহা উপলক্ষে অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বিশেষ বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণ না করেই অধিকাংশ চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সরোয়ার মাহামুদ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, আগামী ঈদ-ঊল-আযহা উপলক্ষে সাড়া দেশের ন্যায় বরিশাল বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে বিতরণের জন্য বিশেষ বরাদ্ধকৃত ২৩.১৪০ মেট্রিক টন চাল রহমতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে গত ১০ই আগষ্ট তারিখে বিলি আদেশ(ডিও) এর মাধ্যমে উত্তোলন করেন।
নিয়মানুযায়ী চাল উত্তোলনের পর পূর্ব নির্ধারিত তারিখে গত কাল শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের জন্য দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী ইউনিয়নের ১১৫৭ জন হত দরিদ্র নারী পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে এসে জমায়েত হয়।
এ দিকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হতদরিদ্রের জন্য দেওয়া বিশেষ বরাদ্ধকৃত এ চাল আনুষ্ঠানিক ভাবে বিতরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড শেখ মোঃ টিপু সুলতান ও বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম খালেদ হোসেন স্বপনের থাকার কথা, কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যার সরোয়ার মাহামুদ তরিঘরি করেই চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে গতকাল শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম খালেদ হোসেন স্বপনকে ফোনে চাল বিতরণের খবরটি জানান। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন হটাৎ করে কেন চাল বিতরণ করা হবে? এর কোন উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ দিতে পারেনি বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান।
পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে বিতরণের জন্য উত্তেলনকৃত চাল দেখতে চান, এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান দেখতে পান উত্তোলন কৃত ২৩.১৪০ মেট্রিকটন চাল ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে নেই! এর কারণ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সকল চাল উত্তোলন করা হয়নি, ১০ মেট্রিকটন চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আঃ খালেক জানান, রহমতপুর ইউনিয়নের জন্য বরদ্ধকৃত চাল ২৩.১৪০ মেট্রিক টন চাল চেয়ারম্যান কাগজ পত্রে উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। কিন্ত রহমতপুর ইউনিয়নের কিছু চাল এখনও খাদ্য গুদামে আছে,(১৩.১৪০ মেট্রিক টন) যাহা পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ নিবেন বলেন জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ টিপু সুলতান বলেন নিয়মানুযায়ী চাল বিতরণের সময় স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে চাল বিতরণ করার কথা, কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি। গতকাল শনিবার চাল বিতরণ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে মর্মে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।