চরফ্যাসনের শশীভূষণ থানা এলাকায় ইয়াছিন সরদার(৬৫) ও শাহিন(২৫) নামের একই পরিবারের দুই কৃষককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় চরকলমী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে। স্বজনরা গুরুতর আহত বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পরিবার সুত্রে জানাগেছে।
আহত ইয়াছিন সরদার জানান, দক্ষিণ মঙ্গল মৌজায় ৫২৮ নং খতিয়ানে প্রতিবেশী নুর হাফিজ তার ৩৫ বছরের দখলীয় ২ একর জমি বন্ধবস্ত করে নেন। তার বসত বাড়ি ও ঘর থাকায় নুর হাফিজ ১৫ সনে ওই জমি এফিডেভিটের মাধ্যমে তাকে মালিকানা হস্থান্তর করেন। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে ওই জমিতে বসত ঘর নির্মান করে ভোগদখলে আসছিলেন। সম্প্রতি সময়ে চরফ্যাসন পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা লোকমান ও ইলিয়াছ তার দখলীয় ওই জমির মালিকানাদাবী করে তাকে উচ্ছেদের হুমকি দেন এবং ১৪ সনে তার বসত ঘর পুড়িয়ে দেন। লোকমান গংরা তাকে উচ্ছেদে ব্যার্থ হয়ে স্থানীয় ভূমিদস্যু জাকির সিকদার ও নুরহোসেন সিকদারের সাহায্য নিয়ে তাকে জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেন। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে লোকমান , ইলিয়াছ ও স্থানীয় ভূমিদস্যু জাকির সিকদার ও নুরহোসেন সিকদারকে আসামীকে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন স্থানীয় ভূমিদস্যু জাকির সিকদার ও নুরহোসেন সিকদারগংরা। বুধবার রাতে সংঘবদ্ধ হয়ে ওই ভুমিদস্যু চক্র তার দখলীয় জমির বসত ঘর ভেঙে দখলের চেষ্টা করেন। এসময় তিনি এবং তার ছেলে শাহিন বাধা দিলে ভূমিদস্যু নুর হোসেন সিকদার ও জাকির সিকদারের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাদের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে তারদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা আত্নগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জানাযায়নি।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পুর্বের অভিযোগটি তদন্ত চলমান রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার ঘটনার কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।