চরফ্যাসনে ১২ বছরের জেলে শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করে বিপাকে জেলে পরিবার। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে অব্যহত হুমকি ধামকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভিক্টিম ও তার পরিবার। মামলা দায়েরের ৪দিন অতিবাহিত হলেও আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
গত ৪জুলাই রাতে নজরুল নগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভিক্টিমের বসত ঘরে প্রতিবেশী শামছু প্যাদার ছেলে আনোয়ার ও আনিছ প্যাদার ছেলে রিয়াজ রাতের আধারে ঘরে ঢুকে ১২ বছর বয়সী জেলে কন্যাকে হাত বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এঘটনায় ভিক্টিম শিশুর মা বাদী হয়ে ৫ জুলাই দক্ষিণ আইচা থানায় দুই যুবককে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। প্রভাবশালী আসামীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে অব্যহত হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভিক্টিম পরিবার ।
ভিক্টিমের মা জানান, প্রতিবেশী বখাটে দুই যুবক আনোয়ার ও রিয়াজ ওই জেলে কন্যাকে প্রায় সময় কু-প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার রাতে তার মা ভাশুরের নবজাতক সন্তানকে দেখতে পাশের বাড়িতে যান। ওই দিন শিশুর বাবা মাছ ধারার কাজে নদীতে ছিলেন। রাতে একই ছোট দুই ভাইকে নিয়ে ভিক্টিম একই ঘরে ছিলেন। এ সুযোগে গভীর রাতে প্রতিবেশী দুই যুবক বসত ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে তার ১২ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে হাত বেঁধে মুখ চেপে ধরে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে এসে প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাত বাধাবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করেন। ধর্ষণের মামলা দায়ের পর আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে অব্যহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আসামীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তার পরিবার।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, ভিক্টিম পরিবারকে হুমকি ধামকির বিষয়টি জানা নাই। আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।