চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার চর মনিকা ইউনিয়নে জমি বিরোধের জের শাহাবুদ্দিন(৪৫)ও নাসিমা(২৫) নামের দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার ওই ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহতবস্থায় বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হসপাতালে ভর্তি করেছেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহাবুদ্দিন জানান, দক্ষিণ আইচা থানার উত্তর চর মানিকা মৌজায় ৪৩১ নং খতিয়ানে দেড় একর জমির দিয়ারা রেকর্ড সুত্রে মালিক ছিলেন তার বাবা খালেক চকিদার । তার মৃত্যুর পর তিনি এবং তার অপর ৭ ভাই বাবার ওয়ারিশি ওই জমির মালিক হয়ে চাষ আবাধ করে জিবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। চলতি বছরে প্রতিবেশী ভুমিদস্যু চক্রের হোতা আবদুল মজিদ চকিদার ভূয়া কাগজ সৃজন করে তাদের দখলীয় ওই জমির মালিকানাদাবী করে জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। এনিয়ে তিনি এবং তার অপর ভাইরা জমির মালিকানা ফিরে পেতে স্থানীয় চেয়াম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার সরেজমিনে তাদের জমি বুঝিয়ে দেন। মজিদ চকিদার গংরা চেয়ারম্যানের শালিশ উপেক্ষা করে শনিবার তাদের বাবার ওয়ারিশি জমি চাষ দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা চালান। এসময় আমি তাদের বাধা দিলে আবদুল মজিদ চকিদারের নেতৃত্বে শাহ আলম চকিদার, রফিক চকিদার, হাসান ও বহিরাগত সন্ত্রাসী সিরাজ, ইউসুব, সবুজ, সুমনসহ একটি সংবদ্ধ চক্র দেশীয় আস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমাকে উদ্ধারে আমার মেয়ে নাসিমা এগিয়ে এলে তাকেও এলো পাতারী মারধর করে কুপিয়ে জখম করে । স্থানীয়রা গুরুতর আহতবস্থায় আমাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত আবদুল মজিদ চকিদার জানান, ওই জমি ভোলা সদরের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বর্গ চাষ করে আসছি। এবছর জমিতে চাষ দিতে গেলে গংরা বাধা দেয় এবং আমাদেরকে মারধর করেন।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।