চরফ্যসনের দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে আমেনা বেগম ও রাজিয়া বেগম নামের দুই নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদারের দুই ছেলে তুহিন ও শাহিনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় চর মানিকা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিরোধীয় জমিতে এঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত মা আমেনা বেগম ও মেয়ে রাজিয়া বেগমকে উদ্ধার করে দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পরিবার সুত্রে জানাগেছে।
চিকিৎসাধীন বিধবা আমেনা বেগম জানান, চর মানিকা মৌজায় ৩ একর ২২ শতাংশ জমির বন্ধবস্ত সুত্রে মালিক হন তার স্বামী আবদুল সোবাহান। তার মৃত্যুর পর ওই জমির মালিক হন তিনি এবং তার মেয়ে রাজিয়া বেগম। সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাদের দখলীয় জমির মালিকানা দাবী করে উচ্ছেদের হুমকি দেন। এঘটনায় তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য বারাবরে লিখিত আবেদন করলে অভিযোগটি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি উভয় পক্ষের মধ্যে সমোঝতা করে তার স্বামীর প্রাপ্ত জমি তাদেরকে বুঝিয়ে দেন। শুক্রবার স্থানীয় চেয়ারম্যান থানার সমোঝতা উপেক্ষা করে তার দখলীয় জমি জবর দখল করে আবাধ শুরু করলে তিনি এবং তার মেয়ে বাধা দেন। এসময় চেয়ারম্যানের দুই ছেলে তুহিন ও শাহিন তাদের ওপর আর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহতবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার জানান,ওই নারী আমেনার স্বামী ও তার চাচারা ওই জমি আমার কাছে বিক্রি করে গেছেন। উল্টো তার স্বামীর বিক্রিত জমির মালিকানাদাবী করছেন। আর অহেতুক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, উভয় পক্ষের শালিশদারকে সার্ভেয়ার দিয়ে ওই নারীর জমি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তবে ওই জমি বিধবা আমেনাকে সঠিক ভাবে তাদের প্রাপ্ত জমি চেয়ারম্যান বুঝিয়ে দেননি।