
ভোলার চরফ্যাসনের চরকলমী ও চরমাদ্রাজ ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে চরমাদ্রাজের এক ইউপি সদস্যকে। তাকে আটকের প্রতিবাদে তার কর্মী সমর্থকরা মিছিল নিয়ে চরফ্যাশন থানার সামনে আসলে পুলিশ ধাওয়া করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
চরকলমীর বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী মুজিবর রহমান জানান,তার কর্মীরা বিজয় মিছিল বের করলে প্রতিপক্ষ পরজিত প্রার্থী আবুল বাশার বাচ্চু হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকরা অস্ত্র সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার ৩০জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। অপরদিকে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবুল বাশার বাচ্চু হাওলাদার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সেখানে কোন হামলার ঘটনাই ঘটেনি। শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের স্ট্যাকিং ফোর্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এবিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাজ ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর ও পরাজিত প্রার্থী জামাল খার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। এঘটনায় চরফ্যাশন থানা পুলিশ নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেছে। সন্ধ্যায় তাকে আটকের প্রতিবাদে তার কর্মী সমর্থকরা মিছিল নিয়ে চরফ্যাশন থানার সামনে এসে জড়ো হয়। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাহাঙ্গীরকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।