চরফ্যাসনের দুলারহাটে রাতের আধাঁরে কৃষকের জমি জবর দখল করে ঘর নির্মান
কৃষকের জমিতে জোরপূর্বক নিমিত ঘর


চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নে কৃষকের জমি জবর দখল করে রাতে আধারে ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়  প্রভাবশালী সালিশদার শাহ আলম ও মিলন পন্ডিতের সহায়তায় রাতের আধারে ঘর নির্মান করে কৃষকের জমিতে দখল করা হয়েছে। এ নিয়ে  নুরুদ্দিন বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার সিরাজুল ইসলাম জানান, চর তোফাজ্জল মৌজায় দিয়ারা ৩৮৫ খতিয়ানের ১৬৭ দাগের ৮ একর ৭৯ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন তারা চাচা আবদুল হাকিম। তিনি জিবিত থেকেই জৈনক ইউসুব আলীর কাছে   ৪ একর ৩৯ শতাংশ বিক্রি করেন। তার মৃত্যুর পর বাকী ৪ একর ৩৯ শতাংশ আবদুল হাকিমের ওয়ারিশরা ভোগ দখল করেন। ইউসুফ আলী তার খরিদা জমি থেকে সমূদয় জমি বিক্রি করেন জনৈক চান মিয়াগংদের কাছে। চান মিয়াগংরা ওই জমি নুর মোহাম্মদ, কালা মিয়া এবং সেরাজল হকের কাছে বিক্রি করেন। নুর মোহাম্মদ তার অংশ থেকে ১ একর ৫০ শতাংশ জমি আবদুর রশিদ মাষ্টারের কাছে বিক্রি করেন। তার মৃত্যুর পর  রশিদ মাষ্টারের  ২ স্ত্রী,৪ ছেলে এবং ২ মেয়ে ওই জমির ওয়ারিশ হিসেবে ভোগ দখলে আছেন। সম্প্রতি সময়ে মৃত কালা মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম ওই জমির মালিকানা দাবী করে উচ্ছেদের হুমকি দেন। এনিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়। সম্প্রতি সময়ে গ্রামে সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মৃত  কালা মিয়া ও সেরাজল হকের ওয়ারিশ খোরশেদ আলমকে তার দাবীকৃত জমি তাদের দলিল ও  খতিয়ান অনুযায়ী বুঝিয়ে দেয়া হলে তারা ওই জমিতে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেন। এবং সিরাজুল ইসলাম গংদের ১ একর ৫০ শতাংশ জমি ৩৮৫ নং খতিয়ানে দিয়ারা ১৬৭ নং এসএ  ৪০ দাগে বুঝিয়ে দেয়া হলে তারা ও তাদের জমি ভোগদখলে থেকে চাষ আবাদ করেন। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই জমি কালা মিয়া এবং সেরাজল হকের ওয়ারিশরা  তাদের জমি তারা ভোগ দখল করে আসছিলেন। গত কয়েক মাস আগে রশিদ মাষ্টারের ওয়ারিশ তার স্ত্রী রহিমা বেগম তার অংশ থেকে প্রতিবেশী নুরউদ্দিনের কাছে ৩৮৫ খতিনের ১৬৭ দাগে ১৬ জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। মৃত কালা মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম রহিমার বিক্রিত ১৬ শতাংশ জমি নুরু উদ্দিনকে দখল দিতে বাধা দেন। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে ফের  সালিশ হলে গ্রাম্য সালিশদার উভয়ের জমি বুঝিয়ে দেন। মৃত কালা মিয়ার ওয়ারিশ খোরশেদ আলম সালিশদারদের সালিশ অমান্য করে স্থানীয় সালিশদার শাহ আলম ও মিলন পন্ডিতের সহায়তায় গত ৬ মে গভীর রাতে মৃত কালা মিয়ার ওয়ারিশ খোরশেদ আলম রহিমার দখলীয় প্রতিবেশী নুরউদ্দিনের কাছে বিক্রিত ১৬ শতাংশ বিক্রিত জমিতে জোর পুর্বক জবর দখল করে  ঘর নির্মান করলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় কৃষক নুরুদ্দিন দুলারহাট থানায় ৭ মে সকালে  লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই দিন দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মান কাজ স্থগিত করেন। কিন্ত পুলিশ চলে যাওয়ার পর থেকে প্রতিপক্ষ ঘর নির্মাণ অব্যহত রাখে । এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে রক্ষাক্ত সহিংসতার আশংকা করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত কালা মিয়া জানান, দুলারহাট থানার ওসির নিদের্শে  জমিতে আমি ঘর উত্তোলন করছি। প্রতিপক্ষ অহেতুক ভাবে আমার জমি দাবী করেছেন।
দুলাহাট থানর ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাবুগঞ্জে জম্মাস্টমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
জাতিকে উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে মেধা বিকাশের বিকল্প নেই--টিপু
সেবার মাধ্যমে মানুষের আস্থা ফিরালেন সুজিত হাওলাদার
আগামীকাল দুলারহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন
হরিনাকুন্ডুতে গৃহবধুকে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা, শ্বশুর শ্বাশুড়ি গ্রেফতার
চরফ্যাসন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
চরফ্যাসনে বিয়ের নামে নারীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে
চরফ্যাসনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে জুতা পায়ে দাড়িয়ে ছবি তুলেছেন সাব ইন্সপেক্টর হারুন অর রশিদ
চরফ্যাসনে ১৮ মামলার পলাতক আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরাদের ২০ বছরের জেল
বেগম খালেদা জিয়া একটি অভিশপ্ত নাম- নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী