চরফ্যাসনে শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নে ফজলুর রহমান(৫৬) ও বিবি ফাতেমা (৬০)নামের বৃদ্ধ দাম্পত্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই ই্উনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম কালু হাওলাদার ও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের মৃর্ধা বাজারের এবং বসত বাড়িতে ঢুকে দফায় দফায় মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত দম্পত্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার সময় বাড়িতে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা হামলাকারীদের অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি করে আহত দাম্পত্তিকে চরফ্যাসন হাসপাতালে করেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতেরদ পরিবার সুত্রে জানাগেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম কালু হাওলাদারের ছেলে ইউসুব ওই এলাকায় ইরি বøকে পানি সেচের ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন। তার সেচ প্রকল্পের আওয়াতায় আমি ১০শতাংশ জমির ইরির আবাদ করছি। গত বুধবার ইউসুব হাওলাদার আমার কাছে পানি সেচের টাকা চায়। ধান না পাকায় আমি তাকে টাকা দিতে ব্যর্থ হই। ধান বিক্রি করে টাকা দিবো বলে জানাই । এসময় পানি সেচের টাকা নিয়ে ইউসুবের সাথে আমার কথার তর্ক বাধে। তর্কের জের ধরে ইউপি সদস্যের ছেলে ইউসুব , রিপন, স্বপন, আমার ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে স্থানীয় মৃর্ধা বাজারে প্রথম দফায় মারধর করেন। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করেন এবং একটি দোকানে লুকিয়ে রাখেন। তাকে না পেয়ে তার বসত বাড়িতে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধরের জন্য খুঁজতে থাকেন । তাকে বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে তার বৃদ্ধা স্ত্রী ফাতেমাকে হুমকি ধামকি দেয়। তিনি প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্য নুরুল আমিন কালু হাওলাদার ও তার ছেলে ইউসুব .স্বপন,রিপন ঘরে ঢুকে তার বৃদ্ধা স্ত্রীকে এলোফাথারী মারধর কওে গুরুতর আহত করেন। প্রতিবেশীদেও কাছ থেকে খবর পেয়ে গোপনে আমি এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চরফ্যাসন হাসপাতালে আনার পথে হামলাকারী ওই ইউপি সদস্য নুরুল আমিন কালুর ছেলেরা তাদেরকে ধরে নিয়ে চিকিৎসা তাদের নিজ বসত ঘরে এক রাত অবরুদ্ধ করে রাখেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা পালিয়ে এসে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি হন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যে নুরুল ইসলাম কালু হাওলার ও তার ছেলে ইউসুব এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।