
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলাধীন হাঁসমারী এলাকায় বাস ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবারও প্রাণ গেল আজাদ নামের এক বাস চালকের।
অপরদিকে উপজেলার দক্ষিননারিবাড়ী গ্রামে ব্যাটারী চালিত অটোভ্যানের চাকায় পিস্ট হয়ে ৩ বছরের শিশু সুন্নাতি খাতুন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আল আমিন (৮) নামের আরেক শিশু।
হাইওয়ে পুলিশ ও গুরুদাসপুর থানা পুলিশ জানায়, আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহন (ঢাকা-মেট্রো ব-১৪৫৮৪৩) ও যশোর থেকে ঢাকামুখি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা- মেট্রো ঠ-১৩৫৪১৬) এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই শ্যামলী পরিবহনের ড্রাইভার আজাদুল ইসলাম আজাদ নিহত হয় এবং আহত হয় অন্তত ২০ জন।
এ ঘটনায় মহাসড়কের ১০নং ব্রিজ থেকে নয়াবাজার ৪ কিলোমিটার সড়কে তিন ঘন্টা ধরে কোন পরিবহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শতশত পরিবহণ আটকে যায়। প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে পরিবহণ জামে আটকে থাকা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আহত ২০ জনের মধ্যে বর্মন (২২), জাহিদুল (২৫), রবিউল (৩৫), আনোয়ার (৩৩), রাজু আহম্মেদ, হেলপার সেলিম ও শাহিনের অবস্থা আশংকাজনক। বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ, গুরুদাসপুর থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বনপাড়া আমেনা হাসপাতাল ও নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাভার্ড ভ্যানের হেলপার মো. সেলিম গাড়িটি চালাচ্ছিল।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. সামসুন নূর ও
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা উভয় সড়ক
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।