চরফ্যাসনের দুলারহাটের নুরাবাদ ইউনিয়নে বিধবার জমি জবর দখলে চেষ্টা ও বসত ঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে কামরুল ইসলাম কাজল মিয়া নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। গত বুধবার গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের চর তোফাজ্জল গ্রামে কাজল মিয়ার বাজার সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনার পরপরই রাতে ভূক্তভোগি পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ।
থানায় মামলা দায়েরে ব্যার্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ভূক্তভোগি বিধবা পাখি বেগম জানিয়েছেন।
পাখি বেগম অভিযোগ করেন, নুরাবাদ ইউনিয়নের চর তোফাজ্জল মৌজার ২ নং ওয়ার্ডে এসএ ১৮৭ নং খতিয়েনে বাবা বাদশা মিয়া ৫০ শতাংশ জমির মলিক থাকিয়া তার মৃত্যুর আগে মেয়ে পাখি বেগমকে হেবানামা ৫৫৫৬ নং দলিল মূলে ৬ শতাংশ জমি দলিল সম্পাদন করে দেন। ওই জমিতে তিনি বসত বাড়ি ঘর উত্তোলন করে ভোগদখলে আছেন। সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কাজল মিয়া তার দখলীয় জমি বিক্রির প্রস্তাব দেন। জমি বিক্রির প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে ওই জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেন। গত বুধবার রাতে বাতাসে ঘরে টিন ছুটে গেলে তারা রাতেই ঘর মেরামত করার কাজ করছিলেন। এসময় কাজল মিয়া তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসত ঘরের বেড়া কুপিয়ে তছনছ করেন। এবং আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধে রেখে ঘরের থাকা মালামাল স্বর্নলংকার, ফ্রিজ, ঘরে থাকা ৭০ হাজার টাকাসহ আসবাব পত্র লুট করে নেয়। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপর বুধবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে চাইলে দুলারহাট থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রভাবশালী কাজল মিয়ার হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বিধবাসহ তার পরিবার।
অভিযুক্ত কাজাল মিয়া জানান, আমার জমি ওই নারী জবর দখল করে আছেন। তাদের ঘর বাড়ি ভাংচুরের বিষয়টি আমার জানানাই।
দুলারহাট থানার ওসি মোরাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বাড়ি ঘরে হামলার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জমি বিরোধে ভূক্তভোগি আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত বিষয়টি নিস্পত্তি করবে এখানে আমার কোন হাত নাই।