ভোলা জিয়া স্কুলের শিক্ষক নাছিরের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ
প্রতিক ছবি


ভোলা শহীদ জিয়া আদর্শ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগপত্র ও যোগাদানপত্রের জাল জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকের নাম মোঃ নাছির আহাম্মদ। তিনি একই তারিখে একাধিক বিষয়ে নিয়োগপত্র ও যোগাদান পত্র দাখিল করেছেন। রয়েছে তার বর্তমান পদের পাপ্যতা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ। তদন্ত করে এসব জাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্যরা।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, শহীদ জিয়া আদর্শ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক  মোঃ আবদুর রব ২০১১ সালে অবসরে যান। এর পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সাথে যোগাশাযোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের তৎকালিন প্রধান শিক্ষক ও নাছির আহাম্মদ বিজ্ঞান বিভাগের পরিবর্তে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রাপ্যতা দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন ও নিয়োগ কমিটি সকল কাগজপত্রে সহকারী শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞান পদে নাছির আহাম্মদকে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ নিয়োগ দেয়া হয়। এর পরদিন ১ এপ্রিল ২০১২ তারিখ তিনি সহকারী শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞান পদে যোগদান করেন। ওইসময় সকল রেজুলেশন সে মোতাবেক করা হয়। পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও এমপির জন্য যেসব কাগজ পত্র দাখিল করেছেন তাতে দেখা যায়, একই তারিখে (০১/০৪/১২) সহকারী শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞান ও সহকারী শিক্ষক  (ইংরেজি) পদে একাধিক যোগদান ও নিয়োগপত্র দাখিল করেন। যা প্রতিষ্ঠান প্রধান গ্রহণও করেছেন। একই তারিখে একটি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে নিয়োগ ও যোগদান করা বিধি বর্হিভুত। জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে এসব কাগজ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকদের। ভোলা জেলা প্রশাসক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের গত ২৪/০৪/২০১৮ তারিখ সহ বিভিন্ন সময়ে স্বাক্ষরিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিবরণীতেও নাছির আহাম্মদ সহকারী শিক্ষক  সমাজ বিজ্ঞান পদে দেখানো হয়েছে। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ বেআইনি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি সহকারী শিক্ষক ইংরেজি দেখিয়ে বেতনভাতা নিচ্ছেন। অন্য শিক্ষকদের আরও অভিযোগ, আবদুর রবের অবসরে যাওয়ায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকের পদ শূণ্য হয়। সামাজিক বিজ্ঞান পদে পাপ্যতা না থাকা সত্বেও তৎকালিণ জেলা শিক্ষা অফিসারকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে গত ১৫/০১/২০১২ তারিখ সামাজিক বিজ্ঞানের পদে প্রাপ্যতা দেখানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি হয়েছে বিধায় এ পদে নাছির আহাম্মদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ই সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি বলে দাবি অভিযোগ শিক্ষক কর্মচারীদের। এদিকে এসব অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির ঘটনায় বিচার চেয়ে ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসকের কাছে এক শিক্ষক অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে নাছির আহাম্মদকে অতিরিক্ত শিক্ষক দেখিয়ে ০৬/০৫/২০১৮ তারিখ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তাও বিধি বর্হিভুত। অভিযুক্ত নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক নাছির আহাম্মদ জানান, জালজালিয়াতির বিষয় সঠিক নয়। প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের সাথে আমার বিরোধের কারনেই আমার বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ তোলা   হচ্ছে। ইতিপুর্ব এমন একটি অভিযোগ তোলার পর জেলা প্রাসশক বিষয়টি তদন্ত করে আমার পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মো. হোসেন জানান, আমি বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি । এসব বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। তবে ওই স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খালেদা খানম বিষয়টি হয়তো জানতে পারেন।

আমতলীতে প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত শুরু
বাবুগঞ্জে মাসব্যাপী আওয়ামীলীগের শোক কর্মসূচি ঘোষনা
বাবুগঞ্জে যুব সমাজের উদ্যোগে মাদক বিরোধী সভা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনায় বাবুগঞ্জে আওয়ামীলীগের আনন্দ মিছিল
বরগুনা-১ আসনের আওয়ামীলীগ উদ্যোগে মিছিল
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, অস্ত্র-গুলি ও মাদক উদ্ধার
চরফ্যাসনে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৫ জেলের কারাদন্ড
প্রতারক নারী স্ত্রী দাবী করে পুরুষকে মামলায় ফাঁসিয়ে চাঁদা আদায় করছে
চরফ্যাসন পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন এস, এম মোরশেদ
চরফ্যাসনে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে যমজ দুই বোন