চরফ্যাসন সরকারি কলেজের অফিস সহায়ক গৃহবধু খাদিজা নাছরিন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার সকালে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে চরফ্যাসন সদর রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং বাজারের ব্যবসায়ীসহ সামাজিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। এসময় মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্বাসরোধ করে নাছরিনকে হত্যার ১মাস ১৯ দিনেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনিহার কারণেই মূল আসামী স্বামী কামাল দেওয়ানসহ জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়েছে। বক্তরা ২৪ঘন্টার হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর আন্দলোনের ঘোষণা দেয়া হবে।
প্রকাশ, যৌতুকের দাবীতে স্বামী কামাল দেওয়ানসহ পরিবারের সদস্যরা খাদিজা নাছরিনকে মারধর করতেন। গত ২২ নভেম্বর খাদিজা নাছরিন একটি নবজাকত শিশুর জম্ম দেন। ওই শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি যেতে চাইলে স্বামীর গৃহে তাকে মারধর করে স্বাসরোধ করে হত্যার পর বেড রুমের ফ্যানের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে দিয়ে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন। গত ২৩ নভেম্বর পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে খাদিজা নাছরিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তখন থেকেই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ পরিবারে অভিযোগটি আমলে না নিয়ে খাদিজা নাছরিন আত্মহত্য করেছে বলে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পরে নিহতের পরিবারের দাবীর মুখে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠান। মৃত্যুর ১মাস ৭ দিন পর ৩০ডিসেম্বর ময়নাতদন্তের স্বাসরোধ করে হত্যার প্রমান মেলায় ১জানুয়ারী নিহতের ভাই রুবেল বাদী হয়ে স্বামী কামাল দেওয়ানসহ ছয়জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। খাদিজা হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানব বন্ধন করেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। দ্রæত আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনে আওয়াতায় আনার দাবী জানান মানব বন্ধনে বক্তারা। চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, আসামীরা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার যায়নি। গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।