চরফ্যাসনের মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গেলে ১০ জেলেকে অপহরনের খবর পাওয়া গেছে। জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের আটকে রেখে ৫লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেছে বলে সামরাজ মৎস্যঘাট সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. সেলিম জানিয়েছেন। সোমবার রাতে চরফ্যাসন-মনপুরার সিমান্তবর্তী মেঘনা নদীর বালুয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় ৫টি নৌকাসহ ১০ জেলেকে অপহরনের ঘটনা ঘটে। জলদসুস্যদের জিম্মিদশা থেকে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার পুলিশ ও কোষ্টগার্ড সদস্যদের কোন তৎপরতা নাই বলে ঘাটের জেলেরা অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে জেলে পরিবার অজানা আসংকা বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় জেলে কামাল মাঝি ও শাহে আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় সামরাজ, খেজুর গাছিয়া ও পাঁচ কপাট এলাকার ১০ জেলে ৫টি ছোট কোষা নৌকাসহ মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। রাতে যে কোন সময় জলদস্যুরা তাদেরকে অপহরন করে নিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ১০ জেলে পরিবারের কাছে জলদস্যুরা মোবাইল ফোনে জানান তাদের পরিবারের ১০ জেলে তাদের( জলদস্যুদের) হাতে জিম্মি আছেন। তাদেরকে ফেরৎ পেতে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে। তবে কোথায় জেলেরা জিম্মি আছেন তার অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে জেলে পরিবার গুলো জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার সদস্যদের নিরাপত্তার কারনে নাম পরিচয় দিতে রাজি হননি। তাই এখনও কোন জেলের নাম পরিচয় জানতে পারেনি। কোষ্টাগার্ড চর মানিকা জোনের পেডি অফিসার মো, আবদুল মজিদ জানান,১০ জেলে অপহরনের বিষয়টি কেউ আমাদেরকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে উদ্ধারের অভিযান চালানো হবে। চরফ্যাসন থানার ওসি মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, বিষয়টি শুনেছি। জেলেদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। উদ্ধার সামরাজ ঘাটে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কোথায় জিম্মি আছে তা নির্নয় করা যায়নি। যে নম্বর গুলো দিয়ে পরিবারের কাছে ফোন করা হয়েছে সেসব মোবাইল নম্বর ট্রাকিংএর মাধ্যমে অপহৃত জেলেদের অবস্থান নিশ্চিত করা গেলে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।