চরফ্যাসনে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাবল কপি নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরী নিয়েছেন স্থানীয় আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ দেলওয়ার হোসেন। দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্রে জম্ম তারিখ পরিবর্তন করে তিনি এমন জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন রাড়ীর ছেলে দেলওয়ার হোসেন ইতিপূর্বে ২০০৮ সনে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করেন। যার ক্রমিক নং-০৩২৬ এবং ভোটার নম্বর- ০৯০৬৫৪০০০৭৪৪। এই জাতীয় পরিচয়পত্রে তাহার জম্ম তারিখ ২ মার্চ ১৯৭৭ইং। পেশা দেখানো হয়েছে দিনমুজুর। কিন্তু ২০১৯ সনে পুর্বের ভোটার হওয়ার তথ্য গোপন করে ফের নতুন ভোটার হয়েছেন। যার ক্রমিক নংÑ১২৬৬ এবং ভোটার নম্বর ০৯০৬৫৪০০২৫২১। সে অনুযায়ী তার জম্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১ জানুয়ারী ১৯৯০ সন। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখানো হয়েছে ৮ম শ্রেনী পাশ। এই জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তিনি ২০১৯ সনে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ পদে চাকুরী নেন এবং বর্তমানে ওই চাকুরীতে বহাল আছেন। প্রতারনা করে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেনী পাশ দেখিয়ে জম্ম তারিখ বয়স কমিয়ে দ্বিতীয় বার ভোটার হয়ে তিনি ২০১৯ সনে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ পদে চাকুরী নেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী, দেলওয়ার হোসেন ইতিপূর্বে আরো একবার জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করেন। যার নং ০৯০৬৫৪০০০৭৪৪। এই জাতীয় পরিচয়পত্রে তাহার জম্ম তারিখ ২ মার্চ ১৯৭৭ইং। ২০১৯ সনে পুর্বের ভোটার হওয়ার তথ্য গোপন করে নতুন ভোটার হয়েছেন।যার ভোটার নম্বর ০৯০৬৫৪০০২৫২১। সে অনুযায়ী তার জম্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১ জানুয়ারী ১৯৯০ সন।
পরিচয়পত্র জালিয়াতির বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ দেলওয়ার হোসেন জানান, যে পরিচয়পত্র দিয়ে আমার চাকুরী হয়েছে সেটা আমার কাছে আছে। যারা আমাকে চাকুরী দিয়েছে সেটার জবাব তারাই দিবে। কি ভাবে আমার চাকুরী দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, একই ব্যক্তি দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন বা বহন আইনগত ভাবে অপরাধ হিসেবে গন্য হবে। যেহেতু দেলওয়ার হোসেন জাতিয়াতির মাধ্যমে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করেছেন সেহেতু তাহার দুইটি জাতীয় পরিচয় পত্র বাতিল বলে গন্য হবে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।