গত ৪ নভেম্বর দৈনিক ভোলার কথা প্রত্রিকার অনলইন পোর্টালে দক্ষিণ আইচায় সুপারি চুরির অভিযোগে ১১ বছরের শিশুকে নির্মম নির্যাতন শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদে বলা হয়েছে আবু তাহের মুন্সির সুপারী চুরির অভিযোগ ওই শিশু আলামিনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়।
মুলতঃ গত ২৫ অক্টোবর, রোববার দিবাগত রাতে চর আর কমলী গ্রামের আবু তাহের মুন্সির বাগানে হানা দেয় কিশোর আলআমিন। সুপারীসহ বাগান মালিক আবু তাহের মুন্সি তাকে আটক করে সুপারী চোর কিশোর আলআমিনের অভিভাবক এবং গ্রামবাসীদের খবর দেন। প্রতিবেশী হিসেবে আমাকেও বিষয়টি সমোঝতার জন্য ডাকা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশের একটি দল। পুলিশের উপস্থিতিতে গ্রামবাসী ও আল আমিনের অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে রাতেই সামাজিক ভাবে সমঝোতায় বসে থানা পুলিশের সামনেই চোর কিশোরের পরিবারের উপস্থিতে স্থানীয়রা শালিশ করে সুপারী বাগান মালিক আবু তাহের মুন্সিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। সমোঝতা শেষে পুলিশ কিশোর আল আমিনকে সুপারীসহ উদ্ধার করে বড় ভাই ইমনের হাতে তুলে দেন। তখন নির্যাতনের কোন অভিযোগ করেনি। সমোঝতার পর তাৎক্ষণিক ভাবে এই ক্ষতিপূরণের ৩ টাকার জিম্মাদার হই আমি হারুন। পরদিন ক্ষতিপূরণের এই টাকা পরিশোধের কথা ছিল। তা না দিয়ে ওই কিশোর বড় ভাই ইমন বাদি হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় চাদাঁদাবী এবং চাঁদা না পেয়ে ছোটভাই কিশোর আল আমিনকে আটক এবং নির্যাতনের কাল্পনিক অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীদের আসামী করে দক্ষিণ আইচা থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। বাগান মালিক আবু তাহের মুন্সিও কিশোর আল আমিন, বড় ভাই ইমন ও দুলালকে আসামী করে থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন। দক্ষিণ আইচা থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ তদন্ত করে সুপারী চুরির ঘটনায় বাগান মালিকসহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদাদাবী কিংবা কিশোর আল আমিনকে নির্যাতনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তদন্ত করে তার সত্যতা পাননি। যা পুলিশের উপস্থিতিতে গ্রামবাসী নিষ্পত্তি করেছেন। অহেতুক আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। এমন ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাই।
মোঃ হারুন
নজরুল নগর ইউনিয়ন
সাং- চর আর কলমি
চরফ্যাসন. ভোলা।