চরফ্যাসনে স্কুলছাত্রী অপহরনের পর ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে ভিক্টিম স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় মামলটি দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার মুল হোতা আবদুল্লাহ(২২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছেন।আজ সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত যুবক আবদুল্লাহকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত যুবক আবদুল্লাহ(২২) আসলামপুর ইউনিয়নের আবুগঞ্জবাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম সর্দারের পুত্র। স্কুলছাত্রী অপহরনে সহযোগি হিসাবে অপর আসামীরা হলেন, তার বড় ভাই আব্বাস(৩৫) ও পিতা রফিকুল ইসলাম সর্দার।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার মাদ্রাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে লঞ্চযোগে ঢাকায় নিয়ে যায় যুবক আবদুল্লাহ। লঞ্চের কেবিনে রেখে আবদুল্লাহ জোরপূর্বক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত রবিবার সকালে ঢাকা সদর ঘাটে ছাত্রীকে একা রেখে পালিয়ে যায় ওই যুবক। ওই স্কুল ছাত্রী ঢাকা সদরঘাট লঞ্চটর্মিনাল থেকে ঢাকায় কর্মরত তার মামাকে ফোনে বিষয়টি জানায়। ওই দিন মামা তাকে উদ্ধার করে ভোলার দিবা সার্ভিস লঞ্চযোগে ভোলা নিয়ে আসলে চরফ্যাসন থানা পুলিশ ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় ভিক্টিম ওই ছাত্রী বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে চরফ্যাসন থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া জানান, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামী আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিক্টিম ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।