চরফ্যাসনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে ঢাকা থেকে বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরৎ যাত্রীদের মারধর করে নগদ টাকা,স্বর্নালংকার ও অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরে বেতুয়াঘাট সংলগ্ন বরফ মিলের সামনের সড়কে এই ছিনতাইর ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা আতংক সৃষ্টির জন্য বাবা-মাসহ অন্যদের মারধর করে এবং মায়ের কোল থেকে ৪ বছরের শিশু মাহিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। আহতদের ৪ জনকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় আরিফের বাবা লিটন ফরাজী বাদী হয়ে ৭ জনকে চরফ্যাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত হাসিব নামের এক যুবককে আটক করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত আরিফ জানান, চাচাতো ভাই সুজনের বিয়ের বাজার করার জন্য ঢাকা যান। বাজার করে বেতুয়াগামী কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে সোমবার সকালে বেতুয়া আসেন। ভোর ৫টায় বেতুয়াঘাটে নেমে অটো বোরাকে চরফ্যাসন সদরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছুদূর আসতে স্থানীয় দুর্বৃত্ত হাসিবের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে অটো বোরাকের গতি রোধ করেন। দুর্বৃত্তরা ছিনতাইর চেষ্টা করলে বাঁধা দেয়া হয়। বাঁধা দিলে যাত্রীদের উপর হামলা করা হয়। হামলায় আরিফ, সুজন, রাাবেয়া, শিশু মাহিয়া আহত হন। দুর্বৃত্তরা নগদ ২২ হাজার টাকা, সোনার চেইন এবং বিয়ের জন্য কেনা নতুন পোষাক নিয়ে যায়। হামলাকারীরা আতংক সৃষ্টির জন্য যাত্রীদের মারধরের পাশাপাশি মা রাবেয়ার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শিশুকন্যা মাহিয়াকে পাশের ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়। আক্রান্তদের চিৎকারে পেছনের যাত্রীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইন চার্জ সামসুল আরেফিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
ওসি সামসুল আরেফিন জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। তাবে লঞ্চে সিট নিয়ে বিরোধের জের নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।