চরফ্যাসনে দুলারহাটের নীলকমল ইউনিয়নে বসত ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যনের ভাইসহ ৯ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় সোমবার গৃহকর্তা কাঞ্চন মিয়ার মেয়ে জাহানারা বাদী হয়ে নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই কামরুল হাওলাদারসহ ৯ জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। দুলারহাট থানা পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। রোববার সন্ধ্যার পর নীলকমল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন মিয়ার বাড়িতে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
আসামীরা হলেন, আবদুর রহমানের ছেলে মাহাফুজুর রহমান(২২),শাহাবুদ্দিনের ছেলে শাকিল(১৮), কাজল ঘোষের ছেলে মঞ্জু(২৯), সিদ্দিক এর ছেলে শামীম(২০), আবদুর রব মাঝির ছেলে নিরব(২৫), আবদুল মতলবের ছেলে শাওন(২২) হাফেজ উল্লাহর ছেলে শামীম(২১) ও শাহিন(২০) নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই কামরুল হাওলাদার।
ভুক্তভোগী নারী থানায় লিখিত অভিযোগে দাবী করেন, আসামীদের সাথে তার পূর্বেও কোন বিরোধ ছিলোনা। ঘটনাদিন তিনি তার পরিবারসহ বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যার কিছুটা পরে ওই আসামীরা জোর করে তার গৃহে প্রবেশ করে তার পরিবারের সদস্যদের মারধর শুরু করেন। এবং তাকে এলোপাথারী ভাবে বেধরক মারধর করেন। ওই সময় ছিনতাইকারী চক্র তার বসত ঘরের ড্রয়ার ভেঙ্গে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ঘরে পরিবারের সদস্যদের ৬টি এনডুয়েট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরিবারের সদস্যরা কিছু বুঝে উঠার আগেই মোবাইল ও টাকা পয়সা নিয়ে ছিনতাইকারী চক্র পালিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি ৯ জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদেও করো বক্তব্য জানা যায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার জানান, পুরাতন মোবাইল বেচা কেনা নিয়ে বাদীনীর ভাইয়ে সাথে বিরোধ সৃস্টি হয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষয়টি থান পর্যান্ত গড়িয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমোযতার চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা দুলারহাট থানার উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, টাকা ছিনতায়ের ঘটনাটি সঠিক নয়। তবে মোবাইল ছিনতায়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।