চরফ্যাসনে কলেজছাত্রকে চোর সাজিয়ে জেলে পাঠালো পুলিশ, নেপথ্যে পরকীয়া
প্রতিক ছবি


চরফ্যাসনের দুলারহাট থানা পুলিশের কারিশমায় চুরির মামলায় জেলে আছেন চট্রগাম কলেজের সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিফুল ইসলাম  আজাদ। সে দুলাহাট থানার চর তোফাজ্জল গ্রামের সিরাজ মুন্সির ছেলে। একই গ্রামের জনৈক গৃহবধূর সাথে পরকীয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে  অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীদের তালেতাল মিলিয়ে পুলিশ এমন অপকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৯ জুলাই, রোববার দিবাগত রাতে চর তোফাজ্জল গ্রামের বারেক ফরাজির ছেলে মামুনের বসতঘর  থেকে দিগম্বর অবস্থায় আটকের পর কলেজছাত্র আশিফুল ইসলাম আজাদকে দুলারহাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। দুলারহাট থানা পুলিশ  ওই থানায় গত ফেব্রুয়ারী মাসের দায়েরকৃত একটি চুরির মামলার সন্দেহভাজন আসামী দেখিয়ে সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করেন। ওই মামলায় কলেজছাত্র আজাদ এখন জেলে আছেন।
যে বাড়িতে ঘটনার সূত্রপাত ওই বাড়ির কর্তা বৃদ্ধ বারেক ফরাজি জানান, বাড়ির পাশে আলাদা ঘর করে বসবাস করছেন ছেলে মামুন। শ্রমিকের কাজ  করা মামুন ঘটনার দিন চট্রগ্রামের কর্মস্থলে ছিলেন এবং মামুনের ঘরে তার স্ত্রীসহ ২ সন্তান থাকেন। স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় ছেলে মামুনের ঘরে পুরুষকন্ঠের কথা শুনে তিনি লোকজন নিয়ে প্রবেশ করেন এবং ঘরের মধ্যে একই গ্রামের আশিফুল ইসলাম আজাদকে বিবস্ত্র অবস্থায় আটক করেন। পরে আটক আজাদকে  পুলিশে সোপর্দ করা হলেও তারা কোন অভিযোগ বা মামলা করেননি। ঘটনার পরদিন ছেলের বউকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ছেলে মামুন কর্মস্থল চট্রগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরলে বিষয়টি ফয়সালা করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান,দাবী বারেক ফরাজির। যদিও স্থানীয় নুরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ফয়সালা আশ্বাসের বিষয় সঠিন নয় মন্তব্য করে  বলেছেন, আশিফুল ইসলাম আজাদ ওই গৃহবধূর বাবার বাড়িতে গৃহশিক্ষক ছিলেন। ঘটনার রাতে গৃহবধূর ঘরে আপত্তিকর এবং দিগম্বর অবস্থায় আজাদকে আটক করার বিষয় আমাকে জানানো হয়েছে। আমি থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে পরামর্শ দিয়েছি ।
এদিকে আশিফুল ইসলাম আজাদের ভাই মো. আনোয়ার  অভিযোগ করেন, ঘটনার রাতে বন্ধু এমরান  মোবাইল ফোনে আজাদকে ডেকে নেন। এমরানের ডাকে নিজ বাড়ি থেকে রাস্তায় গেলে আগে থেকে অপেক্ষমান কয়েকজন ব্যক্তি আজাদকে বেঁধে বারেক ফরাজির ছেলে মামুনের বসতঘরে নিয়ে যান। সেখান থেকে আজাদকে উলঙ্গ করে মারধর করে মোবাইল ফোনে ছবি ধারন করে  রাতেই  পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরদিন দুলারহাট থানা পুলিশ গত ফেব্রæয়ারী মাসে দায়েরকৃত একটি চুরির মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আজাদকে আদালতে সোপর্দ করেন। অনৈতিক অর্থলোভে পুলিশ নিরাপরাধ আজাদকে চুরির মিথ্যামামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে দুলারহাট থানার অফিসার ইন চার্জ মো. ইকবাল হোসেন  বলেছেন, আশিফুল ইসলাম আজাদকে বারেক ফরাজির ছেলে মামুনের বসতঘর থেকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। কিন্ত আটক আজাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ বা মামলা দিতে রাজি না হওয়ায় দুলারহাট থানায় তদন্তাধীন একটি চুরির মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এখানে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ সঠিক নয়।

টাকা না দেয়ায় কুপিয়ে স্ত্রীর গাল ও কান কেঁটে দিলেন পাষন্ড স্বামী!
বরিশালে জেব্রা ক্রসিং ও রোড সাইন স্থাপন শুরু
বাবুগঞ্জে নদী ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার
দক্ষিণাঞ্চলের ৩০ লক্ষাধীক মানুষের স্বপ্নপূরণে এক ধাপ এগিয়ে
খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেতে পারবেন কি ?
ঝালকাঠি -১ আসনে শাহজাহান ওমরের বিকল্প হতে পারেন ফয়জুল হক
এনামুল সভাপতি, বাবু সাধারন সম্পাদক
চরফ্যাসনের নুরাবাদ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
চরফ্যাসনে বিয়ের প্রলোভনে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষিত
চরফ্যাসনে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কৃষক পরিবারে জমি দখল