বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অনুরোধে রবিবার থেকে দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে মালিক সমিতি।
শনিবার রাত ১টার পরে চকবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শেখ তবারক হোসেন সহ হাজি মোহাম্মদ মহসিন ও সিটি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এই ঘোষণা দেন।
চকবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম জানান, জীবন ও জীবিকার মধ্যে জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে ঈদ উপলক্ষে দোকান-পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ শনিবার রাতে নগীরর কালিবাড়ি রোডস্থ বাসভবনে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
এসময় মেয়র করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে জনস্বার্থে দোকান-পাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। মেয়রের এই আহŸানে সারা দিয়ে তারা একশত পোষন করেন।
সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, মূলত: করোনা সংক্রমন থেকে বরিশালবাসীকে রক্ষার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো হলে তারা তা রক্ষা করেছেন।
ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়- প্রথমে শহরের দোকানপাট খোলা রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের নিকট আবেদন করলে ৬টি শর্ত মেনে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সারাদেশের করোনা দুর্যোগে ব্যবসায়ীরা মাকের্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরে শনিবার বরিশাল নগরীর ব্যবসায়ীরাও মত পরিবর্তন করেন।
বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশের সাথে বৈঠকে বসেন ব্যবসায়ী নেতারা।
পুলিশ ও ব্যবসায়ী নেতারা জানান, করোনা সংক্রামণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে জনসামগম অনুরুপ একটি স্থান হওয়ার বিষয়টি অবহিত করে ওই বরিশাল সিটি মেয়র এবং পুলিশের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ঈদে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, নগরীর সদর রোড, চকবাজার, কাটপট্টি, গীর্জামহল্লা ও পদ্মাবতী এলাকায় ৫ শতাধিক দোকান রয়েছে। ঈদ কেনাকাটায় মানুষজন এখানেই ভীড় জমিয়ে থাকেন।