চরফ্যাসন হামিদপুর হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে গোপনে সুপারের আত্মীয়স্বজনদের নিয়োগ প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে সুপারের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী চাকুরী প্রার্থীরা জানান, স্বজনদের নিয়োগ দেয়ার জন্য সুপার আমির হোসাইন বর্হিরাগত কোন প্রার্থীদের আবেদন গ্রহন করেননি। ফলে নিরুপায় হয়ে কোন কোন প্রার্থী ডাক যোগে আবেদন প্রেরন করেছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, হামিদপুর হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অখ্যাত পত্রিকায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপারের ছেলেসহ স্বজনদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আবেদন নেয়া হয়। বর্হিরাগত প্রার্থীরা আবেদন জমা দিতে গেলে সুপার নানান অজুহাতে আবেদন গ্রহন করেননি।
কবির হোসেন নামে একজন প্রার্থী জানান, নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদন নিয়ে তিনি মাদ্রাসার অফিসকক্ষে যান,আবেদন নেননি সুপার। পরে আবেদন নিয়ে সুপারের বাসায় যান,সেখানেও নেননি। তারপর সুপার মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপন করেন। গত ৩০ জানুয়ারী আবেদন গ্রহনের শেষদিন অতিক্রমের পর সুপার প্রকাশ্যে আসেন এবং মোবাইল রিসিভ করতে শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে ওই প্রার্থী ডাক যোগে আবেদন প্রেরণ করেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে সুপার আমির হোসাইন জানান, আয়া পদে ৪টি এবং নিরাপত্তাকর্মী পদে ৫ জন আবেদন করেছেন। ছেলের আবেদনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তবে বর্হিরাগত প্রার্থীদের আবেদন না নেয়ার বিষয়ে তার গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছেন। যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে হামিদপুর হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ ( হারুন কিবরিয়া) জানান, কারো আবেদন গ্রহন না করার বিষয় আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।