পবিত্র কোরআনের মু’জিজা-The scientific miracle in the Holy Qur'an-দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
লেখকঃ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
প্রকাশনীঃ গ্লোবাল পাবলিশিং নেটওয়ার্ক
মহাগ্রন্থ আল কোরআন সর্বকালের, সর্বযুগের সমগ্র পৃথিবীর জন্য এক মহাবিস্ময়।
মহান আল্লাহ নবী-রাসুলদের প্রতি ওহি অবতীর্ণ করেছেন এবং তাঁদের মুজিজা বা অলৌকিক বিষয় দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। যেন মানুষ তাঁদের প্রতি সহজে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। কেননা মুজিজা মানুষের সাধ্যের অতীত বিষয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি আমার রাসুলদের প্রেরণ করেছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাদের সঙ্গে দিয়েছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।
(সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২৫)
নবী-রাসুলদের মুজিজা দান করার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো অবিশ্বাসীদের দাবির অসারতা প্রমাণ করা। যেমন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ফিরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করো, আমি তোমাকে অবশ্যই কারারুদ্ধ করব। মুসা বলল, আমি যদি তোমার কাছে কোনো স্পষ্ট নিদর্শন আনয়ন করি, তবু? ফিরাউন বলল, তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে তা উপস্থিত কোরো। অতঃপর মুসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করলে তখনই তা এক সাক্ষাৎ অজগরে পরিণত হলো এবং মুসা হাত বের করল আর তখনই তা দর্শকদের দৃষ্টিতে শুভ্র উজ্জ্বল প্রতিভাত হলো।
সুরা আশ-শুআরা, আয়াত : ২৯-৩৩)
কখনো আল্লাহ অবিশ্বাসীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে নবীদের মুজিজা দান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা কি বলে, সে এটি নিজে রচনা করেছে? বোলো, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমরা এর অনুরূপ ১০টি স্বরচিত সুরা আনয়ন কোরো এবং আল্লাহ ছাড়া অপর যাকে পারো ডেকে নাও। যদি তারা তোমাদের আহ্বানে সাড়া না দেয়, তবে জেনে রাখো, এটা আল্লাহর ইলম মোতাবেক অবতীর্ণ এবং তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তাহলে তোমরা আত্মসমর্পণকারী হবে কি?’ (সুরা হুদ, আয়াত : ১৩-১৪)
কোরআন মহানবী (সা.)-কে দান করা সর্বোত্তম মুজিজা।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, প্রত্যেক নবীকেই কোনো না কোনো অতুলনীয় নিদর্শন (মুজিজা) দেওয়া হয়েছে, যার ওপর ঈমান আনা হয়েছে কিংবা লোকেরা তাঁর ওপর ঈমান এনেছে। আর আমাকে দেওয়া হয়েছে ওহি, যা আল্লাহ আমার ওপর অবতীর্ণ করেছেন। সুতরাং আমি আশা করি যে কিয়ামতের দিন আমার অনুসারীর সংখ্যা তাদের সবার চেয়ে বেশি হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭২৭৪)
“মুসলমানদের মতে এটি আল্লাহর বাণী বা বক্তব্য, যা ইসলামের নবী ও রাসূল মুহাম্মাদের উপর আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়। তাদের মতে এটি একটি মুজিজা বা অলৌকিক গ্রন্থ যা মানব জাতির পথনির্দেশক। মুসলমানদের বিশ্বাস, কুরআনে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।”