ক্যারিয়ার বিকশিত জীবনের দ্বার-A career is the gateway to a flourishing life
বই: ক্যারিয়ার বিকশিত জীবনের দ্বার
লেখক : অধ্যাপক ড. মীর আকরামুজ্জামান
প্রকাশনী : মুনলাইট পাবলিকেশন
বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
সম্পাদক : আবু রাইয়ান
পৃষ্ঠা : 495, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 4th edition, July 2022
আইএসবিএন : 9843000001780
ভাষা : বাংলা
ক্যারিয়ার প্লানিং: গুরুত্ব ও পদ্ধতি
ক্যারিয়ার কি
মস্তিষ্কজাত অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত সফলতার সাথে সাথে মানবজাতিকে উপকৃত করাই ক্যারিয়ার ভাবনার মূল উদ্দেশ্য। ক্যারিয়ার শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। যেখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ নেই, ক্যারিয়ার সেখানে অনুপস্থিত। এ কারণে অশিক্ষিত একজন কৃষক এবং শিক্ষিত একজন কৃষিবিদ যখন কৃষিকে জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে অবলম্বন করেন, তখন কৃষকের জন্য কৃষি পেশা হলেও কৃষিবিদের জন্য তা ক্যারিয়ার। তাছাড়া, ক্যারিয়ার অর্থ শুধু পেশা নয়, পেশার অতিরিক্ত ব্যক্তির সহজাত গুণাবলী, জীবনের লক্ষ্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, লালিত বিশ্বাস ও আদর্শ, সন্তুষ্টি, মানবিক দায়িত্ব, অর্থ প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো ক্যারিয়ারে ওতপ্রোতভাবে অন্তর্ভূক্ত। বর্তমানে পেশাদারিত্বের (Professionalism) সাথে বৈশিক চেতান (Globalisation) সংযুক্ত হওয়ায় career ভাবনায় আসছে নানামাত্রিক পরিবর্তন।
Career এর আভিধানিক অর্থ- জীবনের পথে অগ্রগতি, জীবনায়ন, বিকাশক্রম, জীবিকা অর্জনের উপায় বা বৃত্তি ইত্যাদি। Cambridge International Dictionary of English- এ ক্যারিয়ারের যে সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে তা হলো- “শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে অর্জিত এমন এক কর্ম যেখানে ব্যক্তির সমগ্র কর্মজীবনে গুণগত এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি আসে, দায়িত্বের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় এবং জীবন যাপনে পর্যাপ্ত অর্থের নিশ্চিয়তা থাকে।”
তবে ক্যারিয়ার অর্জনে একটি সুস্পষ্ট ও সুউচ্চ টার্গেট মানুষের সাধনা ও গতিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। মূলত এর এভাবেই আমরা নিজকে একটি সুন্দর পর্যায়ে উন্নীত করতে পারি না। যে সময় পারস্য সম্রাজ্য ছিল বিশ্বব্যাপী এক অপরাজেয় শক্তি আর মুসলমানেরা ছিল হাতে গোনা সামান্য ক’জনার মিলিত শক্তি, ঠিক সেই সময়ই মুসলিম শক্তি কর্তৃক পারস্যের পদানত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন আল্লাহর রাসূল সা. । এটি একদিকে যেমন কাফেরদের হাসাহাসির কারণ হয়েছিল অপরদিকে মুসলমানদেরকে দীপ্ত সাহসী ও পরিশ্রমী করেছিল। আর এভাবেই পরবর্তিতে পারস্য বিজয় সম্পন্ন হয়েছিল। এক কাঠুরিয়াল ছেলে সুদৃঢ় স্বপ্ন দেখেছিল সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে। সাধনার বলে তিনিই হয়েছিলেন আব্রাহাম লিংকন। সুতরাং ক্যারিয়ার অর্জন বা মৌলিক সাফল্যের জন্য একটি সুস্পষ্ট ও সুউচ্চ টার্গেট নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিজয়ী এক অনন্য বীর জুলিয়াস সিজার বলতেন, অধিকাংশ মানুষ বড় হতে পারে না, কারণ সে সাহস করে আকাশের মত সুউচ্চ টার্গেটের দিকে তাকাতে পারে না।’
ক্যারিয়ার প্লানিং কী ও কেন ?
অদূর ভবিষ্যতে করণীয় কার্যসমষ্টির অগ্রিম সুচিন্তিত বিবরণই পরিকল্পনা। এটা আমরা কোথায় আছি এবং ভবিষ্যতে কোথায় যেতে চাই তা মধ্যকার সেতুবন্ধন।
ক্যারিয়ার সংক্রন্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বস্তবায়নের পদ্ধতিকেই ক্যারিয়ার প্ল্যানিং বলে। ক্যারিয়ার প্ল্যানিং হচ্ছে জীবনব্যাপী একটা নিরন্তর প্রচেষ্টার নাম যা পেশা নির্ধারণ, চাকুরি, চাকুরির সাথে সাথে জীবনযাপন, চাকুরি থেকে অবসর, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করে। বাস্তবসম্মত, সময়োপযোগী এবং পছন্দসই ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং মূলত সববয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, ক্যারিয়ার প্ল্যানিং তাদের যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে। তাছাড়া শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও চাকুরি খোঁজার ক্ষেত্রেও একজন ক্যারিয়ার সচেতন মানুষের জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এর সহযোগিতা অপরিহার্য।
একটা উদাহরণ দেই এ পর্যায়ে। ধর তুমি ট্রেনে সিলেটে যাবে। এ উদ্দেশ্যে রেল স্টেশনে দিয়ে হাজির হয়েছো। ভুলবশত বা অন্য কোন কারণে জেনে নাওনি কোন ট্রেন সিলেটে যাবে। পাশাপাশি দুটো প্লাটফর্মে দাঁড়ানো দুটো ট্রেনের যে কোনটিতে উঠেই কি তুমি সিলেটে যেতে পারবে? না পারবে না। তোমার জীবনের ঈপ্সিত গন্তব্যস্থলেও পৌছার ব্যাপারে একই ধরনের সমস্যায় ফেলবে তোমাকে। সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে তোমাকে এবং সঠিক সময়েই তা নিতে হবে এই লক্ষ্যে পৌছার জন্যে। আর যদি লক্ষ্যই ঠিক না হয়ে থাকে তবে কোথায় যাবে তুমি শেষ পর্যন্ত? এভাবে এদেশের অধিকাংশ যুবকের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতা সমস্যা সৃষ্টি করছে সঠিক পেশায় পৌছার ব্যাপারে। তাই প্রয়োজন ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অর্থাৎ প্রথমে পেশা নির্বাচন এবং পরে সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলা।
ইচ্ছা করলেই কি আমি সবকিছু হতে পারি? না তবে অনেক কিছুই হতে পারি। মনের শক্তি দিয়ে মানুষ যে রোগ ও দৈহিক পঙ্গুত্বকেও উপহাস করতে পারে তার প্রমাণ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। লিখতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না, দুরারোগ্য মোটর নিউরোন ব্যাধিতে ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে যেতেও তিনি বিশেষ ভাবে তৈরী কম্পিউটারের সহযোগিতায় রচনা করেছেন বর্তমান যুগের বিজ্ঞান জগতের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী গন্থ, এ ব্রীফ হিষ্ট্রি অব টাইম। হুইল চেয়ার থেকে তুলে যাকে বিছানায় নিতে হয় তিনি অবলীলায় মহাবিশ্ব পরিভ্রমণ করে উপহার দিয়েছেন বিশ্ব সৃষ্টির নতুন তত্ত্ব। আইনস্টাইনের পর তাঁকেই মনে করা হচ্ছে বিশ্বের প্রধান বিজ্ঞানী। বিংশ শতাব্দির বিস্ময় আলবার্ট আইনস্টাইন দুই বার নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। তাঁর প্রদত্ত Theory of Relativity বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত বিশ্ববাসী ভাল করে বুঝতেই পারেনি। অথচ এই আবিষ্কারের ফলে প্রচলিত বহু বৈজ্ঞানিক সূত্রের পরিবর্তন ঘটাতে হয়েছে পরে। এই বিজ্ঞানী intermediate level- এর ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম বছরে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। নেপোলিয়ন তাঁর ভাগ্য রেখা তৈরী করার জন্য নিজে নিজের হাতের তালু কেটেছিলেন একবার। তাঁর অদম্য স্পৃহা এবং অনড় আত্মবিশ্বাস তাঁকে একজন ইতিহাস জয়ী সমরিক অফিসার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছে। এবারে একটু rearrange করে দেখিতো তাদেরকে অর্থাৎ আইনস্টাইনের কর্মকাণ্ডে নেপোলিয়ান, আর যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি হিসাবে আইনস্টাইনকে দাঁড় করে। কাজ দুটোর কোনটিই যে সম্পন্ন হবে না তা নির্ঘাত বলা চলে। কিন্তু কেন? কারন বিভিন্ন পেশার দাবি বিভিন্ন। প্রকৃতপক্ষে এক এক পেশার দাবি এক এক ধরণের গুণাবলী। কে কোন পেশায় যাওয়ার জন্য উপযোগী তা নির্ধারিত হয়ে থাকে বহুলাংশে তাঁর সহজাত গুণাবলীর উপরে। এই গুণাবলী এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ ধরে হিসাব করতে হয় কে কোন পেশায় নিয়োজিত করবে নিজেকে।
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা: পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় শিক্ষা শেষে কোন পেশার প্রবেশের পূর্বে একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। বাংলাদেশের চাকুরির বাজার তীব্র প্রতিযোগীতাপূর্ণ হওয়ায় এই পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়টি সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ এবং বিবেচনাপসুত হওয়া প্রয়োজন। আমরা চাকুরিপ্রার্থীদের চারস্তর বিশিষ্ট নিম্নলিখিত ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পদ্ধতিটি বিবেচনা করতে বলবো।
(ক) আত্মপ্রকৃতি যাচাই
নিজের প্রকৃতি বিরুদ্ধে কোন পেশা ব্যক্তির জীবনে সর্বাঙ্গীন সফলতা আনতে পারে না। এ কারণে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পদ্ধতির এই স্তরে একজন চাকুরিপ্রার্থীকে মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যাশিত চাকুরিটি যেন তার সহজাত পছন্দ বা আগ্রহ এবং আদর্শ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পরিপন্থী না হয় এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আদর্শকে লালন করার অধিকার ক্ষুণ্ন না করে। এছাড়া এ পর্বে শিক্ষা এবং শারীরিক ও মানসিক দক্ষতাকে সামনে রেখে পেশা পছন্দ করা জরুরি। কারণ শিক্ষা জীবনে অর্জিত বিষয়ই যদি কর্মক্ষেত্রের বিষয় হয় তাহলে সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়।
(খ) পেশা নির্বাচনের উপায়
সীমিত ধারণার উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার হিসেবে কোন পেশাকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় নেওয়া উচিত নয়। কাঙ্ক্ষিত পেশাটি ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় স্থান দেওয়ার পূর্বে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পঠন-পাঠন পরীক্ষা খুবই জরুরি। পেশা সম্পর্কে ধারণা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য যে বিষয়গুলোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে তা হলো-
* সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ।
* পেশাদার ক্যারিয়ার কাউন্সিলরদের কাউন্সিলিং (পরামর্শ)
* পেশার ক্ষেত্রসমূহে (অফিস, আদালত মিল, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি) সরেজমিনে ভ্রমণ।
* খণ্ডকালীন চাকুরি, internships, volunteer সার্ভিসের মাধ্যমে।
* সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে লিখিত বই এবং তথ্যবহুল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে।
(গ) পেশা নির্দিষ্ট কারণ
এই ধাপে একজন প্রার্থী-
* সম্ভাব্য পেশাকে নির্দিষ্ট করবে
* এই পেশাকে মূল্যায়ন করবে
* ব্যতিক্রম কিছু থাকলে সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।
* পেশা অর্জনের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় option ই নির্ধারণ করবে।
(ঘ) পেশা অর্জনের প্রয়োজনীয় উপকরণ
এ পর্বে একজন প্রার্থী প্রত্যাশিত চাকুরিটি পাবার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানগত এবং উপকরণগত উন্নতি করার চেষ্টা করবে। যেমন-
* প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত শিক্ষা বা ট্রেনিং এর উৎসগুলো তদন্ত করবে।
* চাকুরি খোঁজার কৌশল নির্ধারণ করবে।
* Resume বা জীবনবৃত্তান্ত লিখবে।
* চাকুরির সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নেবে।
* ভাল আবেদনপত্র লেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
* প্রয়োজনে কোচিং এর সাহায্য নেবে।
ক্যারিয়ার: স্তর বিন্যাস
ক্যারিয়ার স্তর বিন্যাস বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ার পাঁচটি স্তরে পরিবাহিত হয়।
১। স্বপ্নময় স্তর/সময়
শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে কর্মজীবনে প্রবেশের আগ পর্যন্ত সময়ই স্বপ্নময় সময়। অধিকাংশ মানুষ জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নময় সময় অতিক্রম করে। এসময় ক্যারিয়ার সম্পর্কিত নানা প্রত্যাশা বা স্বপ্ন একজন ব্যক্তির মনে জন্ম নেয়, যার অধিকাংশই অবাস্তব এবং অলীক। এইসব ক্যারিয়ার ভাবনা কয়েক বছরের মধ্যেই অপ্রাপ্তিতে রূপ নেয়। পরিণতিতে ব্যক্তি হাতশায় নিমজ্জিত হয়।
২। প্রতিষ্ঠার স্তর/সময়
ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এ একজন ব্যক্তির শিক্ষা শেষে চাকুরি সন্ধান এবং প্রথম চাকুরি গ্রহণের সময়টা প্রতিষ্ঠার সময় হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এ স্তরের মেয়াদ আনুমানিক ২৫ থেকে ৩৫ –এ দশ বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৩। মধ্যবর্তী স্তর/ সময়
ক্যরিয়ারের এ পর্যায়ে একজন ব্যক্তি তার কর্মতৎপরতায় ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন করে অথবা স্থিতি পায় অথবা কর্মতৎপরতায় ভাটা পড়তে শুরু করে। ক্যারিয়ারে এই সময়টার মেয়াদই সবচেয়ে দীর্ঘ। এদেশে ৩৫ থেকে ৫৫ পর্যন্ত সময়কে আমরা একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ারের মধ্যবর্তী স্তর হিসেবে অভিহিত করতে পারি।
৪। স্থিতি স্তর/ সময়
ক্যারিয়ারের এই সময়টাকে একজন মানুষ তার পেশা সম্পর্কে নতুন কিছুই শেখে না, কিংবা শেখার আগ্রহও থাকেনা। এ পর্যায়ে ব্যক্তি তার কার্যসম্পাদন প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় কম দক্ষতার পরিচয় দিতে শুরু করে। সাধারণত ৫৫ থেকে ক্যারিয়ারে স্থিতির স্তর শুরু হয়ে যায়।
৫। সমাপ্তি
এ পর্বে কর্মজীবন শেষে অবসর গ্রহণ করে।