কবীরা গুনাহ – ইমাম শামসুদ্দীন আয্ যাহাবী - Kabira sin - Imam Shamsuddin Az-Zahabi

কবীরা গুনাহ – ইমাম শামসুদ্দীন আয্ যাহাবী DOWNLOAD NOW

লেখক : ইমাম আযযাহাবী

প্রকাশনী : বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার

বিষয় : হালাল হারাম

ভূমিকা

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। আমরা শুধু তাঁরই প্রশংসা করি এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি ও তাঁর নিকট ক্ষমা চাই। আল্লাহ যাকে হিদায়াত দিবেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারবে না। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না এবং আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢﴾ [ال عمران: ١٠٢] 

“হে ঈামনদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাকে ভয় কর আর সাবধান, মুসলিম না হয়ে মারা যেও না।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০২]

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفۡسٖ وَٰحِدَةٖ وَخَلَقَ مِنۡهَا زَوۡجَهَا وَبَثَّ مِنۡهُمَا ٗا كَثِيرٗا وَنِسَآءٗۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِي تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبٗا ١﴾ [النساء: ١]

 “হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী, আর আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচনা করে থাক এবং আত্মীয়- জ্ঞাতীদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন।” [সূরা আন-­নিসা, আয়াত: ১]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَقُولُواْ قَوۡلٗا سَدِيدٗا ٧٠ يُصۡلِحۡ لَكُمۡ أَعۡمَٰلَكُمۡ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۗ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ فَازَ فَوۡزًا عَظِيمًا ٧١﴾ [الاحزاب: ٧٠،  ٧١]

“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক সত্য কথা বল, তিনি তোমাদের আমল সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৭০-৭১]

নিশ্চয় সর্বোত্তম কথা হলো আল্লাহর কিতাব। আর সর্বোত্তম আর্দশ হলো রাসূলের আদর্শ। আর সর্ব নিকৃষ্ট বিষয় হলো মনগড়া ও নব প্রবর্তিত বিষয় তথা বিদ‘আত, আর প্রতিটি বিদ‘আতই হলো গোমরাহী। আর প্রতিটি গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِن تَجۡتَنِبُواْ كَبَآئِرَ مَا تُنۡهَوۡنَ عَنۡهُ نُكَفِّرۡ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ وَنُدۡخِلۡكُم مُّدۡخَلٗا كَرِيمٗا ٣١﴾ [النساء: ٣١] 

“যে সকল বড় গুনাহ সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সে সব বড় গুনাহ থেকে বেচে থাকতে পার, তবে আমরা তোমাদের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দিব এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩১]

উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা যারা কবীরা গুনাহ থেকে বেচে থাকবে তাদেরকে দয়া ও অনুগ্রহে জান্নাতে প্রবেশ করানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। কারণ, সগীরা গুনাহ বিভিন্ন নেক আমল যেমন, সালাত, সাওম, জুমু‘আ, রমযান ইত্যাদির মাধ্যমে মাফ হয়ে যাবে।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«الصلوات الخمس والجمعة إلى الجمعة ورمضان إلي رمضان مكفرات لما بينهن إذا اجتنبت الكبائر».

“পাচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমু‘আ থেকে অন্য জুমু‘আ এবং এক রমযান থেকে অন্য রমযান মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহগুলোকে ক্ষমা করিয়ে দেয়, যদি বড় গুনাহ থেকে বেচে থাকা যায়।”[1]

উল্লিখিত হাদীসের দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, কবীরা গুনাহ থেকে বেচে থাকা অতীব জরুরি। যদিও জ্ঞানীরা বলেন, তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার ফলে কোনো কবীরা গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না। আর একই গুনাহ বার বার করলে তা সগীরা থাকে না।

অতএব, কবীরা গুনাহ থেকে বেচে থাকতে হলে তা সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

হুযাইফা ইবনুল ইয়ামন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, লোকেরা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালো ভালো বিষয়গুলো জিজ্ঞাসা করত এবং আমি খারাপ বিষয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম এজন্য যে, যাতে আমাকে খারাপ বিষয়গুলো স্পর্শ করতে না পারে। কবি বলেন,

عرفت الشر لا للشر لكن لتوقيه

ومن لم يعرف الخير من الشر يقع فيه

“আমি খারাপ সম্পর্কে জেনেছি তা করার উদ্দেশে নয়, বরং খারাপি থেকে রক্ষা পেতে। কারণ, যে লোক মন্দ সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে না সে তাতে পতিত হয়।”

বিষয়টাকে অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ মনে করে যে সব কবীরা গুনাহ হাফেয ইমাম শামসুদ্দীন আয-যাহাবী তার প্রসিদ্ধ কিতাব “আল-কাবায়ের” এ উল্লেখ করেছেন সেগুলোসহ আরো কিছু কবীরা গুনাহের আলোচনা করা হয়েছে।

এসব কবীরা গুনাহ সম্পর্কে জানা থাকলে হয়ত এ গুনাহ থেকে বেচে থাকাও সম্ভব হবে।

এখানে প্রতিটি কবীরা গুনাহের আলোচনার সাথে একটি বা দু’টি করে কুরআন ও হাদীসের বিশুদ্ধ প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে এবং প্রয়োজন অনুসারে কোনো কোনো স্থানে বিষয়টির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আল্লাহর নিকটই আমরা সাহায্য প্রার্থনা করি।

আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ এবং মহৎ গুণাবলীর মাধ্যমে র্প্রাথনা করছি যে, এই রিসালার মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে তার দ্বারা আমাকে এবং সমস্ত মুসলিমকে প্রতিদান দিবেন ঐ দিন যে দিন কোনো ধন সম্পদ ও সন্তান কারো উপকারে আসবে না। একমাত্র ঐ ব্যক্তি উপকৃত হবে যে আল্লাহর নিকট সরল মন নিয়ে উপস্থিত হবেন। আর এই আমল সহ অন্য সমস্ত আমল একমাত্র আল্লাহর জন্য। তিনি তার সন্তুষ্টি অর্জন ও কুরআন, হাদীসের অনুসৃত পথ নির্দেশনা অনুসলরণ করার তাওফীক দিন।

وآخر دعوانا ان الحمد لله رب العالمين.

কবীরা গুনাহ কী?

অনেকেই মনে করেন, কবীরা গুনাহ মাত্র সাতটি যার বর্ণনা একটি হাদীসে এসেছে। মূলতঃ কথাটি ঠিক নয়। কারণ, হাদীসে বলা হয়েছে, উল্লিখিত সাতটি গুনাহ কবীরা গুনাহের অর্ন্তভুক্ত। এ কথা উল্লেখ করা হয় নি যে, কেবল এ সাতটি গুনাহই কবীরা গুনাহ, আর কোনো কবীরা গুনাহ নেই।

একারণেই আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, কবীরা গুনাহ সাত হতে সত্তর পর্যন্ত (তাবারী বিশুদ্ধ সনদে)।

ইমাম শামসুদ্দীন আয-যাহাবী বলেন, উক্ত হাদীসে কবীরা গুনাহের নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা করা হয় নি।

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যা রহ. বলেন, কবীরা গুনাহ হলো: যে সব গুনাহের কারণে দুনিয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক শাস্তির বিধান আছে এবং আখিরাতে শাস্তির ধমক দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে সব গুনাহের কারণে কুরআন ও হাদীসে ঈমান চলে যাওয়ার হুমকি বা অভিশাপ ইত্যাদি এসেছে তাকেও কবীরা গুনাহ বলে।

উলামায়ে কিরাম বলেন, তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার ফলে কোনো কবীরা গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না আবার একই সগীরা গুনাহ বার বার কারার কারণে তা সগীরা (ছোট) গুনাহ থাকে না।

উলামায়ে কিরাম কবীরা গুনাহের সংখ্যা সত্তরটির অধিক উল্লেখ করেছেন। যা নিচে তুলে ধরা হলো:

১ নং কবীরা গুনাহ

الشرك بالله ‘আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা’

২ নং কবীরা গুনাহ

‘মানুষ হত্যা করা’ قتل النفس

৩ নং কবীরা গুনাহ

السحر ‘যাদু’

৪ নং কবীরা গুনাহ

ترك الصلاة  বা (সালাত ত্যাগ করা)

৫ নং কাবীরা গুনাহ

منع الزكاة বা যাকাত আদায় না করা

৬নং কবীরা গুনাহ

সঙ্গত কারণ ছাড়া রমযানের সাওম ভঙ্গ করা বা না রাখা

৭ নং কবীরা গুনাহ

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ না করা

৮ নং কবীরা গুনাহ

عقوق الوالدين ‘মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া’

৯ নং কবীরা গুনাহ

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং নিকট আত্মীয়দের পরিত্যাগ করা

১০ নং কবীরা গুনাহ

الزنا ‘ব্যভিচার করা’

১১ নং কবীরা গুনাহ

পুং মৈথুন এবং স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করা

১২ নং কবীরা গুনাহ

أكل الربا ‘সুদ খাওয়া’

১৩ নং কবীরা গুনাহ

أكل مال اليتيم ‘ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ করা’

১৪ নং কবীরা গুনাহ

আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের ওপর মিথ্যারোপ করা

১৫ নং কবীরা গুনাহ

الفرار من الزحف  ‘যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা’

১৬নং কবীরা গুনাহ

শাসক ব্যক্তি কর্তৃক প্রজাদেরকে ধোকা দেওয়া এবং তাদের ওপর অত্যাচার করা

১৭ নং কবীরা গুনাহ

গর্ব, অহংকার, আত্মম্ভরিতা, হট-ধর্মিতা

১৮ নং কবীরা গুনাহ

شهادة الزور ‘মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া’

১৯ নং কবীরা গুনাহ

شرب الخمر মাদক দ্রব্য সেবন করা

২০নং কবীরা গুনাহ

القمار জুয়া খেলা

২১নং কবীরা গুনাহ

সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া

২২ নং কবীরা গুনাহ

গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা

২৩ নং কবীরা গুনাহ

السرقة চুরি করা

২৪ নং কবীরা গুনাহ

قطع الطريق ডাকাতি করা

২৫ নং কবীরা গুনাহ

 মিথ্যা শপথاليمين الغموس

২৬ নং কবীরা গুনাহ

الظلم যুলুম, অত্যাচারা করা

২৭ নং কবীরা গুনাহ

المكاس চাঁদাবাজী ও অন্যায় টোল আদায়

২৮ নং কবীরা গুনাহ

হারাম খাওয়া, তা যে কোনো উপায়ে হোক না কেন

২৯ নং কবীরা গুনাহ

الانتحار  আত্মাহত্যা করা

৩০ নং কবীরা গুনাহ

অধিকাংশ সময় মিথ্যা বলা

৩১ নং কবীরা গুনাহ

মানব রচিত বিধানে দেশ পরিচালনা ও বিচার ফয়সালা করা

৩২ নং কবীরা গুনাহ

বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণ করা

৩২ নং কবীরা গুনাহ

মহিলা পুরুষের বেশ ধারণ করা এবং পুরুষের মহিলার বেশ ধারণ করা

৩৪ নং কবীরা গুনাহ

আপন স্ত্রীকে ব্যভিচারে সুযোগ দেওয়া

৩৫ নং কবীরা গুনাহ

হালালকারী এবং যার জন্য হালাল করা হয় উভয়ে গুনাহগার

৩৬ নং কবীরা গুনাহ

عدم التنزه من البول পেশাব থেকে বেঁচে না থাকা

৩৭ নং কবীরা গুনাহ

চতুষ্পদ জন্তুর চেহারা বিকৃতি করা

৩৮ নং কবীরা গুনাহ

দুনিয়া অর্জনের লক্ষ্যে ইলমে দীন শিক্ষা করা এবং সত্যেকে গোপন করা

৩৯ নং কবীরা গুনাহ

الخيانة  খিয়ানত করা

৪০ নং কবীরা গুনাহ

 المن খোটা দেওয়া

৪১ নং কবীরা গুনাহ

التكذيب بالقدر তাকদীরকে অস্বীকার করা

৪২ নং কবীরা গুনাহ

মানুষের নিকট অন্যের গোপন তথ্য ফাঁস করা

৪৩ নং কবীরা গুনাহ

النميمة পরনিন্দা করা

৪৪ নং কবীরা গুনাহ

اللعن অভিশাপ করা

৪৫ নং কবীরা গুনাহ

গাদ্দারী করা, ওয়াদা পালন না করা

৪৬ নং কবীর গুনাহ

গণক ও জ্যোতির্বিদদের বিশ্বাস করা

৪৭ নং কবীরা গুনাহ

 স্বামীর অবাধ্য হওয়াنشوز المرأة على زوجها

হে মুসলিম ভাইয়েরা! আপনাদের প্রতি আমার বিনীত উপদেশ এই যে, আপনারা এমন নারীদের বিবাহ করবেন যারা মুমিনা, পর্দানশীল, স্বামীর অনুগত, আপনার ধন স্পদ রক্ষাকারিণী এবং সে পর্দাহীনভাবে সাজ-সজ্জা গ্রহণ করে রাস্তায় বের হবে না, আর আপনার আনুগত্য করবে।

৪৮ নং কবীরাগুনাহ

কাপড় , দেওয়াল ও পাথর ইত্যাদিতে প্রাণীর ছবি আঁকা

৪৯ নং কবীরা গুনাহ

শোক প্রকাশার্থে চেহারার উপর আঘাত করা, মাতম করা, কাপড় ছেড়া, মাথা মুণ্ডানো বা চুল উঠানো, বিপদের সময় ধ্বংসের জন্য দো‘আ করা

৫০ নং কবীরা গুনাহ

البغي অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করা

৫১ নং কবীরা গুনাহ

দুর্বল, চাকর-চাকরানী, স্ত্রী ও চতুষ্পদ জন্তুর ওপর অত্যাচার করা

৫২ নং কবীরা গুনাহ

أذى الجار প্রতিবেশীদের কষ্ট দেওয়া

৫৩ নং কবীরা গুনাহ

মুসলিমদের কষ্ট দেওয়া ও গালি দেওয়া

৫৪ নং কবীরা গুনাহ

অহংকার করে লুঙ্গি কাপড় ইত্যাদি ঝুলিয়ে পরিধান করা

৫৫ নং কবীরা গুনাহ

স্বর্ণ রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করা

৫৯ নং কবীরা গুনাহ

পুরুষের স্বর্ণ ও রেশমী কাপড় পরিধান করা

৫৭ নং কবীরা গুনাহ

إباق العبد গোলামের পলায়ন করা

৫৮ নং কবীরা গুনাহ

আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশে পশু যবেহ করা

৫৯ নং কবীরা গুনাহ

জেনে শুনে অন্যকে পিতা বলে স্বীকৃতি দেওয়া

৬০ নং কবীরা গুনাহ

তর্ক-বির্তক, ঝগড়া এবং শত্রুতা পোষণ করা

৬১ নং কবীরা গুনাহ

প্রয়োজনের অতিক্তি পানি দান করতে অস্বীকার করা

৬২ নং কবীরা গুনাহ

نقص الكيل و الميزان  ওজনে ও মাপে কম দেওয়া

৬৩ নং কবীরা গুনাহ

আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিশ্চিত হওয়া

৬৪ নং কবীরা গুনাহ

মৃত জন্তু, প্রবহিত রক্ত এবং শুকরের গোশত খাওয়া

৬৫ নং কবীর গুনাহ

জুমু‘আর সালাত ও জামা‘আত চেড়ে দিয়ে বিনা কারণে একা একা সালাত আদায় করা

৬৬ নং কবীরা গুনাহ

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া

৬৭ নং কবীরা গুনাহ

মুসলিমকে কাফির বলে আখ্যায়িত করা

৬৮ নং কবীরা গুনাহ

ষড়যন্ত্র করা এবং ধোক দেওয়া المكر والخديعة

৬৯ নং কবীরা গুনাহ

মুসলিমদের ত্রুটি-বিচ্যুতি তালাশ করা এবং তাদের গোপন তথ্য প্রকাশ করা

৭০ নং কবীরা গুনাহ

কোনো সাহাবীকে গালি দেওয়া

৭১ নং কবীরা গুনাহ

القضاء السوء  অন্যায় বিচার

৭২ নং কবীরা গুনাহ

ঝগড়া করার সময় অতিরিক্ত গালি দেওয়া

৭৩ নং কবীরা গুনাহ

কোনো বংশ বা তার লোকদের খারাপ গুণে অভিহিত করা

৭৪ নং কবীরা গুনাহ

মৃত ব্যক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক ও উচ্চ শব্দে কান্নাকাটি করা

৭৫ নং কবীরা গুনাহ

যমীনের সীমানা উঠিয়ে ফেলা বা পরিবর্তন করা

৭৬ নং কবীরা গুনাহ

অপসংস্কৃতি ও কু-প্রথার প্রচলন করা অথবা বিভ্রান্তির দিকে আহ্বান করা

৭৭ নং কবীরা গুনাহ

নারী অন্যের চুল ব্যবহার করা, শরীরে উলকি আকা, ভ্রু উপড়ানো, দাত ফাক করা

৭৮ নং কবীরা গুানাহ

ধারালো অস্ত্র দিয়ে কারো দিকে ইশারা করা

৭৯ নং কবীরা গুনাহ

হারাম শরীফে ধর্মদ্রোহী কাজ করা

কবীরা গুনাহ ইমাম আয যাহাবী pdf,কবিরা গুনাহের তালিকা pdf,ইমাম শামসুদ্দীন আয যাহাবী,কবিরা গুনাহ বই নোট,ইমাম যাহাবী বই,কবিরা গুনাহ ইসলামিক সেন্টার,kabira sin imam shamsuddin az zahabi lyrics,kabira sin imam shamsuddin az zahabi pdf,kabira sin imam shamsuddin az zahabi bangla,কবীরা গুনাহ pdf,কবীরা গুনাহ ইমাম আয যাহাবী pdf

ইসলামের হাকীকত – সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী - Islamer hakikat - Syed Abul A'la Maududi
ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক – খুররম মুরাদ
ইসলামী আন্দোলন: সাফল্যের শর্তাবলী – সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী
রাহে আমল - আল্লামা জলিল আহসান নদভি - Rahe Amal - Allama Jalil Ahsan Nadvi
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্ব – শামসুন্নাহার নিজামী
পর্দা ও ইসলাম – সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী - Veil and Islam - Syed Abul A'la Maududi
ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রাথমিক পুঁজি – অধ্যাপক গোলাম আযম
নামায রোযার হাকীকত – সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী - Namaz Rozar Hakikat – Syed Abul A’la Maududi
এবার ভিন্ন কিছু হোক-Ebar Vinno Kichu Hok
যাকাতের হাকীকত - সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী