তিলা লালপা-Spotted redshank
চিত্রিত পিউ, তিলা লালপা বা চিট্টো পি-উ Scolopacidae (স্কলোপ্যাসিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Tringa (ট্রিঙ্গা) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির পানিকাটা পাখি।
ইংরেজি নাম: Spotted redshank
বৈজ্ঞানিক নাম: Tringa erythropus
বর্ণনাঃ
পাখির মাপ ৩৩ সেন্টিমিটার। বুক ও পেট সাদা রঙের, কপাল,মাথা ও ঘাড় ছাই-বাদামি রঙের, পিঠ চকচকে ছাই-ধূসর, তার ওপর অসংখ্য সাদাটে ছিট-ছোপ থাকে। পা লম্বা, পায়ের রং কমলা-হলুদ, লম্বা নলাকার ঠোঁটের গোড়া লাল, বাকিটা কালচে ধূসর। চোখের ওপর দিয়ে চওড়া সাদা একটি টান আছে। লেজের গোড়ার উপরিভাগ সাদা। লেজের আগার দিকের ওপরে সুবিন্যস্তভাবে সাদা ও কালো রেখা আড়াআড়িভাবে টানা। পালকের উপরিভাগের পেছন দিকে সাদা সাদা ছোট ছোট চৌকো ছোপ আঁকা।
স্বভাবঃ
পিউ পাখি জোড়ায় চলে, ছোট দলে বা বড় দলে চলে এরা। ভালো সাঁতার জানে। লম্বা ঠোঁট জলের তলার কাদায় সেধিয়ে দিয়ে সামনে-পেছনে ও ডানে-বাঁয়ে চালাতে ওস্তাদ। প্রয়োজনে ডুবও দেয়। এক পায়ে ভর করে ঘুমায়। সতর্ক এই পাখি হাওর,বিল,মাঠ,ঝিলসহ উপকূলেও চরে।
প্রজননঃ
এটি খোলা জাগায় বাসা বেঁধে, মাটির খোঁচায় ৪টি ডিম পাড়ে। প্রজননের সময় পাখির রং সাদা দাগ সহ কালো থেকে গাঢ় ধূসর হয়ে যায়। প্রজননের সময় পালঙ্কের পাও গাঢ় ধূসর হয়ে যায়।
খাদ্য তালিকাঃ
এদের মূল খাদ্য এদের কুচোমাছ, ব্যাঙাচি, জলজ পোকা,পতঙ্গ,লার্ভা ও সুতোপোকা ইত্যাদি। ছোট গুগলি শামুকও খায়।
বিস্তৃতিঃ
পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়।
অবস্থাঃ
সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩৭ লক্ষ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।