পাহাড়ি নিমপ্যাঁচা-Mountain Scops Owl
Mountain Scops Owl

পাহাড়ি নিমপ্যাঁচা-Mountain Scops Owl

পাহাড়ি নিমপ্যাঁচা যাকে কখনও কখনও দাগযুক্ত  নিমপ্যাঁচা বলা হয়, এটি স্ট্রিগিডে পরিবারের একটি প্রজাতির পেঁচা।

ইংরেজি নাম: Mountain Scops Owl

বৈজ্ঞানিক নাম: Otus spilocephalus

বর্ণনাঃ

পাহাড়ি নিমপ্যাঁচা এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ২০ সেন্টিমিটার। মাথার দু’পাশে কান আকৃতির ছোট ঝুঁটি। কপালে সাদা ছোপযুক্ত, কিছু কিছু স্থানে সাদা ফোঁটা। দেহের উপরাংশ শেয়াল-বাদামি রঙের চিত্রবিচিত্রিত। দেহের নিচের দিকে শেয়াল রঙের চিতির ওপর বাদামি রেখাযুক্ত। চোখের তারা উজ্জ্বল হলুদ। ঠোঁট খাটো, বাদামি রঙের। পায়ের আঙুল ফ্যাকাসে সাদাটে। পা পালকে আবৃত থাকে।

স্বভাবঃ

বাংলাদেশে বিরল দর্শন। কালেভদ্রে দেখো মেলে। নিশাচর পাখি। মূলত রাতের আঁধার ঘনিয়ে এলে ওরা শিকারে বের হয়। পাহাড়ের বনজ এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। একাকি কিংবা জোড়ায় জোড়ায় গাছের ডালে বসে থাকে। মাথা ঘুরিয়ে চারদিকে উড়ন্ত পোকামাকড়ের খোঁজ খবর নেয়। খোঁজ খবর নেয় ইঁদুর বা সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীরও। নাগালের ভেতর এলে কেবল ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকারের ওপর।

প্রজননঃ

প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুন। মরা গাছের প্রাকৃতিক কোটরে ৩-৫টি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২৩-২৫ দিন। শাবক স্বাবলম্বী হতে মাসখানেক লেগে যায়।

খাদ্য তালিকাঃ

পাহাড়ি কীটপতঙ্গ, গোবরে পোকা, ইঁদুর, টিকটিকিসহ অন্যান্য সরীসৃপ।

বিস্তৃতিঃ

বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, পূর্ব-ভারত (সিকিম), নেপাল (হিমালয়ের উত্তর অংশ), মিয়ানমার, দক্ষিণ-পূর্ব চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, সুমাত্রা ও মালয় উপদ্বীপ পর্যন্ত।

অবস্থাঃ

বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।

লালবুক ডুবুরি হাঁস-Red-breasted erganser
ছোট বসন্তবৌরি-Coppersmith Barbet
বৈকাল তিলিহাঁস-Baikal teal
ধানি তুলিকা-Paddyfield pipit
দাগি বসন্তবৌরি -Lineated Barbet
কালা লেজ জৌরালি-Black-tailed Godwit
কাঠঠোকরা-Woodpeckers
চাতক-Pied cuckoo
দাগিলেজ গাছআঁচড়া-Bar-tailed treecreeper
ধলাপেট বক-White-bellied heron