সোনালি গলা বসন্ত বউরি-Golden throated barbet
Golden throated barbet

সোনালি গলা বসন্ত বউরি-Golden throated barbet

সোনালি গলা বসন্তবৌরি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি এশীয় বসন্তবৌরির প্রজাতি যেখানে এটি ৯০০ থেকে ২,৭০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে অগ্রগামী বন বাস করে।

ইংরেজি নাম: Golden throated barbet

বৈজ্ঞানিক নাম: Megalaima franklinii

বর্ণনাঃ

দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ২৩ সেন্টিমিটার। কপাল লাল। তালুতে সোনালি পট্টি। সমস্ত দেহ সবুজ। ডানার গোড়ার পালক নীল। কান ঢাকনি সাদাটে। গলা সোনালি। বুকের দিকে সোনালি আভা দেখা যায়। নিচের দিকে বাদবাকি সবুজ। ঠোঁট ত্রিভুজাকৃতির, শক্ত মজবুত, কালচে। পা জলপাই রঙের।

স্বভাবঃ

ওরা বসন্তকালের পাখি। সারা বছর আড়ালে-আবডালে লুকিয়ে থাকলেও বসন্ত বউরি পাখিরা বসন্তকালের শুরু থেকে লোকালয়ে চলে আসে। গাছের ফল-ফলাদি খেয়ে সামান্য ক্ষতি করলেও বিনিময়ে মিষ্টি করুণ সুর আমাদের কানে দিয়ে যায়। আওয়াজ করে, ‘টুক্-টুক্-টুক..’ (প্রজাতি ভেদে আওয়াজ ভিন্ন) সুরে। অনেক দূর থেকে শোনা যায় সেই আওয়াজ। হঠাৎ আওয়াজটি কানে গেলে যে কেউ কামারের হাতুড়ির আওয়াজ মনে করতে পারেন।’ বিদঘুটে আওয়াজ হলেও সুরে রয়েছে চমৎকার তাল-লয়। শোনার আগ্রহ জাগে। এরা বৃক্ষচারী পাখি। দেখতে সুশ্রী। শরীরের তুলনায় মাথা বড়।

প্রজননঃ

প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে মে। অঞ্চলভেদে ভিন্ন। গাছের কাণ্ডে নিজেরা খোড়ল করে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় ১৫-১৭ দিন।

খাদ্য তালিকাঃ

ছোট পাকা ফল ও ফুলের মধু।

বিস্তৃতিঃ

বাংলাদেশ ছাড়াও বৈশ্বিক বিস্তৃতি উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল,মিয়ানমার,থাইল্যান্ড,লাওস,ভিয়েতনাম ও তিব্বত পর্যন্ত।

অবস্থাঃ

এটি ব্যাপক বণ্টন এবং স্থিতিশীল জনসংখ্যার কারণে আইইউসিএন লাল তালিকায় ন্যূনতম উদ্বেগ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

কালা লেজ জৌরালি-Black-tailed Godwit
ধানি তুলিকা-Paddyfield pipit
লালবুক কাঠকুড়ালি-Rufous-bellied Woodpecker
শাহ চখা- Common Shelduck
সাইক্সের রাতচরা-Sykes's nightjar
দেশি মেটেহাঁস- Indian Spot-billed Duck.
পাকড়া মাছরাঙা-Pied King Fisher
মাছমুরাল পাখি-Osprey
উত্তুরে খুন্তেহাঁস-Northern shoveler
পাতি মাছরাঙা-Common Kingfisher