![নীলকান বসন্তবৌরি-Blue-eared barbet নীলকান বসন্তবৌরি-Blue-eared barbet](https://agami24.com/uploads/2022/08/photos/Blue-eared-barbet(-Psilopogon-duvaucelii)-6309ccb6b3efd.webp)
নীলকান বসন্তবৌরি-Blue-eared barbet
নীলকান বসন্তবৌরি হচ্ছে Megalaimidae পরিবারের Psilopogon গণের একটি পাখি।
ইংরেজি নাম: Blue-eared barbet
বৈজ্ঞানিক নাম: Psilopogon duvaucelii
বর্ণনাঃ
প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১৭-১৮ সেন্টিমিটার। ওজন ৩৫ গ্রাম। মাথার দুই পাশে ও পেছনে লাল পট্টি। গলা ও কান নীল। ঠোঁটের গোড়া হলুদ-সবুজ। ঠোঁট শিঙ-বাদামি। নিচের ঠোঁট থেকে গলার পাশে কালো ডোরা। দেহের উপরের দিক ঘাস-সবুজ। বুক থেকে নিচের দিকে হলদে-সবুজ। পা ও পায়ের পাতা ময়লা সবুজ। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মাথার পাশে লাল পট্টি দেখা যায় না।
স্বভাবঃ
দুর্লভ আবাসিক পাখিদের মধ্যে ‘নীলকান বসন্ত বউরি’ অন্যতম। প্রজাতিটি বেশির ভাগই একাকী বিচরণ করে, তবে মাঝেমধ্যে জোড়ায়ও দেখা যায়। আজীবন বৃক্ষচারী পাখি। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখি গোধূলিলগ্নে ‘কুন্ডটুরর..কুন্ডটরর..’ সুরে ডাকাডাকি করে।
প্রজননঃ
প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুন। মরা গাছের ডালে নিজেরাই গর্ত বানিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৪-১৫ দিন।
খাদ্য তালিকাঃ
ছোট বুনোফল। বট-পাকুড়, দেবদারু, বকুল, পেয়ারা, জাম, আতা, সফেদা, জামরুল ইত্যাদি।
বিস্তৃতিঃ
এরা বাংলাদেশের স্থানীয় পাখি । এদের বাংলাদেশের ঢাকা চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় । বাংলাদেশ ছাড়াও বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে ভারতের হিমালয় অংশের পূর্বভাগ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া পর্যন্ত।
অবস্থাঃ
নীলকান বসন্তবৌরি আই. ইউ. সি . এন. বড় Least Concern বা আশঙ্কাহীন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। বাংলাদেশে এই পাখি Least Concern বা আশংকাহীন বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।