কালো–পা কিডিওয়েক-black-legged kittiwake
কালো–পা কিডিওয়েক এর ইংরেজি নাম ব্লাক-লেগেড কিডিওয়েক। তবে বাংলা নাম এখনো দেওয়া হয়নি। পাখিটি বাংলাদেশের পাখির তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন একটি পাখি। এটি একটি পরিযায়ী পাখি ও গাঙচিল পরিবারের।
ইংরেজি নাম: black-legged kittiwake
বৈজ্ঞানিক নাম: rissa tridactyla
বর্ণনাঃ
দেহের দৈর্ঘ্য ৩৮-৪১ সেন্টিমিটার, ওজন ৩০৫-৫২৫ গ্রাম। পাখিটির পা ছোট ও কালো এবং ডানার আগার পালক কালো। আকারে কালো মাথা গাঙচিলের মতো। শরীরের বেশির ভাগ অংশ সাদা। পিঠের পালক ধূসর নীল। ঠোঁট হলদে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম। তবে গবেষকদের মতে, স্ত্রী পাখি পুরুষ পাখির চেয়ে হয়তো কিছুটা ছোট।
স্বভাবঃ
এ পাখি সাধারণত নিজেদের দলে থাকে। কখনো অন্য সামুদ্রিক পাখির সঙ্গে যোগ দেয়। অন্য পাখির খাবার চুরি করে খাওয়ার অভ্যাস আছে। এরা সাধারণত সমুদ্রের যে অংশে ঢেউ ও পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে সেদিকে খাবার খোঁজে। একটি পাখি প্রায় ১৩ বছর বেঁচে থাকে।
প্রজননঃ
প্রজননের সময় এরা উপনিবেশ তৈরি করে বসবাস করে ও সমুদ্র উপকূলের পর্বতে বাসা করে ডিম পাড়ে। একটি উপনিবেশে ১ লাখ কিডিওয়েক পাখি থাকতে পারে। উভয় পাখি মিলেমিশে বাসা বানায়। স্ত্রী পাখি ১-৩টি ডিম পারে। দুজনে পালা করে ডিমে তা দেয় এবং ২৪-২৮ দিনে ছানা বের হয়ে আসে। ছানা উড়তে শেখে ৩৪-৫৮ দিনে। প্রজননের পর এরা সমুদ্রে ফিরে যায়। নবাগতরা প্রায় ৩-৫ বছর একটানা খোলা সমুদ্রে কাটায়। তারপর ডিম পাড়তে আগের জায়গায় ফিরে আসে।
খাদ্য তালিকাঃ
খাবার তালিকায় আছে মাছ, স্কুইড, চিংড়ি, পাখির ডিম, সামুদ্রিক শৈবাল ইত্যাদি।
বিস্তৃতিঃ
কালো–পা কিডিওয়েক মূলত উত্তর প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের পাখি। এদের আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, কোরিয়া, জাপান উপকূল ও উত্তর প্রশান্ত মহাসগরীয় দ্বীপপুঞ্জগুলোতে দেখা যায়। তবে মাঝেমধ্যে এরা ভারতীয় উপমহাদেশেও কিছু দিনের জন্য আসে।