Ruby-cheeked sunbird
সবুজ মৌটুসী পাখি
সবুজ মৌটুসি নেক্টার্নিডাই গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Anthreptes গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির মৌপায়ী পাখি। মৌটুসী ক্ষুদ্র প্রজাতির পাখি। টুনটুনি পাখিদের চেয়েও এরা আকারে অনেক ছোট এবং ওজনেও কম। তবে এরা অতি সুন্দর পাখি।
ইংরেজি নাম: Ruby-cheeked sunbird
বৈজ্ঞানিক নাম: Nectarinia zeylonica
বর্ণনাঃ
মৌটুসীর মাথার উপরিভাগ থেকে গলার দু’পাশে এবং পিঠের কিছু অংশের পালক এর রং উজ্জ্বল সবুজ। ঠোঁট থেকে বুকের কিছু অংশের পালক হলদে এবং অন্য অংশের রং লালচে ও কমলা রঙের এবং হালকা সবুজ রঙের মিশেল। পিঠের পালক হালকা সবুজ ও বাদামী। তবে চোখের দু’পাশে কিছু অংশের পালক খয়েরী। এদের ঠোঁট অন্য প্রজাতির পাখিদের মতো লম্বা নয় ছোট তবে চিকন। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ১১ সেন্টিমিটার, ডানা ৫.৩ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ১.৫ সেন্টিমিটার, লেজ ৪.২ সেন্টিমিটার ও পা ১.৬ সেন্টিমিটার।
বিস্তৃতিঃ
এটি বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে পাওয়া যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ২৮ লাখ ৩০ হাজার বর্গ কিলোমিটার।
খাদ্য তালিকাঃ
মৌটুসীদের খাদ্য হচ্ছে ফুলের মধু, পরাগ, পাপড়ী আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোকা মাকড়।
প্রজননঃ
মার্চ থেকে জুন মাস এদের প্রজনন মৌসুম। এরা গাছের ডাল,মাকড়সার জাল, তুলো, নরম পালক দিয়ে বুনে বুনে ছোট্ট অথবা লম্বাটে বাসা বানায়। ডিম দেয় বাসায় দুটো থেকে তিনটে ও সাদা রঙের , তাতে বাদামি-ধূসর দাগ থাকে। ডিমের মাপ ১.৬ × ১.২ সেমি।
বিচরণঃ
বনের আশেপাশে চাষাবাদের জন্য পরিষ্কার জায়গা, বনপ্রান্ত, চিরসবুজ বন, ক্ষুদ্র ঝোপ ও প্যারাবনে বিচরণ করে। সচরাচর একা বা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। শীতকালে ছোট পতঙ্গভূক পাখির দলে যোগ দেয়। ঝোপঝাড়ে ও গাছে গাছে এরা খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়।
অবস্থাঃ
বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে, বাড়েনি আবার আশঙ্কাজনক হারে কমেও যায়নি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত নয়।