ল্যাঞ্জা লাটোরা-Long-tailed Shrike
Long-tailed Shrike

ল্যাঞ্জা লাটোরা

কসাই পাখি বা ল্যাঞ্জা লাটোরা একদল ছোট ও মাঝারি আকারের মাংসাশী পাখি। এদের অদ্ভুত শিকার ধরার এবং সংরক্ষণ করার প্রবণতার জন্য এদের নাম হয়েছে কসাই।

ইংরেজি নাম: Long-tailed Shrike

বৈজ্ঞানিক নাম: Lanius schach

বিবরণঃ

ল্যাঞ্জা লাটোরা পাখির দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ওজন ৪৫ গ্রাম.লেজ ১২ সেমি। এদের ঠোঁট খুব বলিষ্ঠ, পাশে চাপা, আগায় 'দাঁত' বা গভীর খাঁজ থাকে। শিকারী পাখির মত এদের উপরের ঠোঁট বড়শির মত করে বাঁকানো। নাকের ছ্যাঁদা প্রায় গোলাকার। এদের পালক দৃঢ়, ডানা গোলাকার ও প্রান্তে সূচালো, লেজ ডানার সমান কিংবা বড় এবং ক্রম সজ্জিত। দেহে ধূসর বা বাদামি রঙের প্রাধান্য থাকে, সাথে সাধারণত লালচে, কালো বা সাদা রঙের সহাবস্থান থাকে। 

খাদ্য তালিকাঃ

বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে শুরু করে ইঁদুর, টিকটিকি, ছোট পাখি ইত্যাদি শিকার করে।

বিস্তৃতিঃ

দক্ষিণ ভারতের উপ-প্রজাতি ক্যানিসেপ শীতকালে দক্ষিণ ভারতের শুষ্ক উপকূলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। উপ-প্রজাতি ত্রিবর্ণ ভারতের দক্ষিণে বাংলায় স্থানান্তরিত হয়। ঝাড়বাতি, তৃণভূমি এবং চাষের অধীনে খোলা জমিতে এদের পাওয়া যায়। দক্ষিণ ভারতে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এগুলি শীতকালে সবচেয়ে সাধারণ ঝাঁকুনিগুলির মধ্যে রয়েছে এবং রাস্তার ধারে রৈখিক ঘনত্বে প্রায় ০.৫৮প্রতি কিলোমিটারে পাওয়া যায়।

বিচরণঃ

ল্যাঞ্জা লাটোরা খোলা মাঠ, ক্ষুদ্র ঝোপ, উঁচু ঘাস, রাস্তার পাশের গাছ ও ফলবাগানে বিচরণ করে। সাধারণত শিকার ধরার উদ্দেশ্যে বিস্তীর্ণ খোলা প্রান্তরের কোন এক উঁচু ডালে বসে থাকে। এমনিতে এরা একাকী চলাফেরা করে এবং প্রজনন মৌসুমে জোড় বাঁধে। 

অবস্থাঃ

ল্যাঞ্জা লাটোরা বিশ্বে ও বাংলাদেশে বিপদমুক্ত বলে বিবেচিত।বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

তামাটে কাঠঠোকরা-Bay woodpecker
সবুজ টিয়া-Rose-ringed parakeet
কালো মথুরা-Black Francolin
ইউরেশীয় মেঠো-Eurasian wryneck
মার্বেল হাঁস-Marbled duck
পাহাড়ি নিমপ্যাঁচা-Mountain Scops Owl
জলপিপি-Bronze Winged Jacana
মদনটাক-Lesser Adjutant
পাহাড়ি নীলকান্ত-Oriental dollarbird
বড় পানকৌড়ি-Great cormorant