নীলকন্ঠ পাখি-Indian Roller
Indian Roller

Indian Roller

নীলকন্ঠ পাখি

নীলকন্ঠ পাখি একটি অতি পরিচিত পাখি। এদের শরীরে আছে তিন রকমের নীল রং হালকা নীল, আকাশি নীল ও গাঢ় নীল দেখতেও চমৎকার নীলকণ্ঠ।

বাংলা নাম: থোড়মোচা, কেওয়া নীলাচঁল ও নীলকণ্ঠ বা নীলকণ্ঠী।

বৈজ্ঞানিক নাম: Coracias benghalensis

ইংরেজি নাম: Indian Roller

বর্ণনাঃ

এ পাখিটির আকার ও আকৃতি একটু ছোট। কিন্তু সৌন্দর্যের দিক থেকে এটি অন্য পাখিদের তুলনায় একেবারে আলাদা। নীলকন্ঠ পাখি মাপে ৩১-৩৩ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ পাখির শরীরে গাঢ় ও কিছুটা হালকা নীল ধরনের পালক রয়েছে। গলা ও বুকে খয়েরি ও বাদামি রঙের মিশ্রিত পালক। পিঠ পোড়ামাটি রঙের। লেজ গাঢ় নীল। পা ইট রঙের। ঠোঁট কালো। পায়ের আঙুলগুলো কালো ও হলুদ। মাথার উপরে কিছুটা নীল রং থাকে এবং পালকের নিচের দিকে নীল রং থাকে। তবে এই পাখিকে অনেকটা কলার মোচার মত দেখা যায়।

বিস্তৃতিঃ

বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় এক সময় প্রচুর পরিমাণে এ পাখিটির দেখা পাওয়া যেত। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশে এখনো এ পাখিটির দেখা মেলে।

স্বভাবঃ

এ পাখিটির স্বভাব অনেকটাই হিংসুটে। নীলকণ্ঠ পাখির এক দম্পতির ঘরে অন্য দম্পতি প্রবেশ করলেই দু’পক্ষের ঝগড়া বেধে যায়। ফলে এক দলের কাছাকাছি অন্য দল ভুলেও যায় না।

খাদ্য তালিকাঃ

পোকা, কীটপতঙ্গ, ব্যাঙ, সাপের বাচ্চা, টিকটিকি, অ্যাঞ্জন, গিরগিটি ইত্যাদি।

প্রজননঃ

প্রজননকাল হলো বসন্তকাল। প্রতি বছর বসন্তকালে এরা ডিম পাড়ে। শুধু ডিম পাড়ার সময় নীলকণ্ঠ পাখি জুটি বাঁধে। এরা পাহাড়ের গায়ে ছোট গর্তে বাসা বাঁধে। সামান্য খড়কুটো দিয়েই তৈরি করে তাদের বাসা। বাসা তৈরির পর নীলকণ্ঠ দম্পতি দু-তিন দিন সময় নেয়। তারপর স্ত্রী নীলকণ্ঠ পাখি ডিম দেয়। সাধারণত একটি স্ত্রী নীলকণ্ঠ পাখি তিন থেকে চারটি ডিম পাড়ে। পুরুষ ও স্ত্রী উভয় পাখিই ডিমে তা দেয়। ডিম পাড়ার ১৮ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।

দাগি রাজহাঁস-Bar headed goose
বাদি হাঁস-White-winged Duck
নাকতা হাঁস-Knob-billed duck
চখাচখি পাখি-Ruddy Shelduck
ধানি তুলিকা-Paddyfield pipit
ডাহুক-white-breasted-waterhen
স্মিউ হাঁস- Smew
পিয়াং হাঁস-Gadwall
গোলাপি শির-Pink-headed duck
কালো–পা কিডিওয়েক-black-legged kittiwake