খয়রা কাস্তেচরা-Glossy Ibis
Glossy Ibis

খয়রা কাস্তেচরা

বাংলা নাম :খয়রা কাস্তেচরা এরা ‘চকচকে দোচরা’ নামেও পরিচিত। 

ইংরেজি নাম : Glossy Ibis

বৈজ্ঞানিক নাম: Plegadis falcinellus

বিবরণঃ

মাথা গাঢ় বাদামি। মুখাবয়ব কালো। ঘাড় থেকে পিঠের মাঝ বরাবর লালচে-খয়েরি। ডানা ও লেজ চকচকে বেগুনি-সবুজ। যা থেকে উজ্জ্বল আভা বের হয় প্রতিনিয়ত। লেজ খাটো। দেহতল লালচে-খয়েরি। প্রজনন পালক ভিন্ন। হলদে-বাদামি ঠোঁটটি নিচের দিকে কাস্তের মতো বাঁকানো। লম্বা পা লালচে-বাদামি। চোখের দুই পাশে দুটি তির্যক নীলাভ টান ঠোঁটের গোড়ায় মিলিত হয়েছে। স্ত্রী-পুরুষের চেহারা অভিন্ন। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রঙে সামান্য তফাৎ রয়েছে। ওদের ঘাড়ের ওপরে বেশ কিছু সাদা রেখা, গলা সাদাটে ও পা কালচে দেখায়। 

খাদ্যঃ

শূককীট, কেঁচো, ছোট সাপ, টিকটিকিসহ বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ এবং মাছও শিকার করে। 

প্রজননঃ 

প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে মে। অঞ্চলভেদে সময়ের হেরফের দেখা যায়। জলাশয়ের কাছাকাছি গাছের উঁচু ডালে সরু কাঠি বা ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৪টি। ফুটতে সময় লাগে ২০-২৩ দিন।

বিচরণঃ

বাংলাদেশে প্রচন্ড শীতে দেখা যায়। দেখতেও চমৎকার। স্বভাবে শান্ত। কণ্ঠস্বর কর্কশ। সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চলের মিঠা পানির অগভীর জলাশয়ে কিংবা মোহনাতে বিচরণ করে। বিশেষ করে জলজ উদ্ভিদ অথবা কৃষি জমিতে একাকী কিংবা জোড়া বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। ঘন উদ্ভিদ-সমৃদ্ধ জলাশয় এড়িয়ে চলে। এরা ঝাঁক বেঁধেও বিচরণ করে। 

বিস্তৃতিঃ

এই প্রজাতির বিস্তৃতি উত্তর-দক্ষিণ-মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া পর্যন্ত।

অবস্থাঃ

বিশ্বে এদের অবস্থান তত সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে কৃষি জমিতে অধিক কীটনাশকের ব্যবহার এবং এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে প্রজাতিটি হুমকির মুখে রয়েছে। সব মিলিয়ে বিবেচনা করে প্রজাতিটিকে আইইউসিএন ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস-Northern pintail
পাকড়া কাঠকুড়ালি-Fulvous-breasted woodpecker
গেওয়ালা বাটান-Philomachus pugnax
সাদা খঞ্জন পাখি-White Wagtail। Motacillidae
মদনটাক-Lesser Adjutant
কাও ধনেশ-Oriental Pied Hornbill
ডাহুক-white-breasted-waterhen
দাগিগলা কাঠঠোকরা-Streak-throated woodpecker
গোলাপি শির-Pink-headed duck
খয়রা ঝিল্লি- brown crake