বড় বসন্তবৌরি
বড় বসন্ত বাউরি, বড় বসন্ত বাওড়ী বা ধনিয়া পাখি।
ইংরেজি নাম- Blue-throated Barbet, Great Barbet
বৈজ্ঞানিক নাম- Megalaima virens
বিবরণঃ
নীল-গলা বসন্তবৌরির মুখ, গলা ও বুকের উপরের দিকে গাঢ় আসমানী নিল। দেহের বাকি অংশ কলাপাতা-সবুজ। মাথার উপরে লাল, হলুদ ও কালো পরপর তিনটি পট্টি। ভ্রু নীলাভ যার উপরে কালো ডোরা, যেটি মাথার কালো পট্টির সঙ্গে সংযুক্ত। ভারি ঠোঁট, ঠোঁটের সামনের অর্ধেক কালো, বাকি অংশ হয় নীলাভ, না হয় নীলের উপরে হলুদের আভাযুক্ত। পা ধূসর বর্ণের। চোখের তারা লালচে। চোখের চারদিকে লাল পট্টিবিশিষ্ট। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম, কেবল অপ্রাপ্ত বয়সের পাখিগুলোর চেহারায় বয়স্কদের চাকচিক্য থাকে না। দৈর্ঘ্যে ২৫ থেকে ২৭ সেন্টিমিটার। ওজন ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম।
স্বভাবঃ
সাধারণত বনাঞ্চল কিংবা যেখানে বেশি গাছ-পালা থাকে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। গাছের মগডাল এবং চাঁদোয়া বেশি পছন্দ।বড় বসন্ত বৌরি সাধারণত ছোট ছোট দলে একসাথে থাকে। অনেকসময় ৩০-৪০ জনের বড়বড় দলেও থাকতে দেখা যায়। সাধারণত শীতকালে এবং বড় কোন খাদ্যের উৎসকে কেন্দ্র করে এরা বড় দল গঠন করে, যেমন বটগাছ।[৪] বড় দলগুলোতে খাদ্যকে কেন্দ্র করে এদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা দেখা যায়। চিৎকার করে ‘কুটুরু-কুটুরু-কুটুরু’ শব্দে প্রায় সারাদিন ধরেই ডাকে। শীতকালে কম ডাকে। যেখানে এরা বাস করে সেখানকার লোকজনের কানে তালা লাগিয়ে দেয়, মিনিটে তিরিশবার পর্যন্ত ডাকতে পারে।
খাদ্য তালিকাঃ
নরম ফল বিশেষ করে বটের ফল, কদম, দেবদারু, ডেউয়া, আম, কলা, তেলাকুচা, কিছু পোকামাকড় ও শুঁয়োপোকা খেতে পছন্দ করে।
বিস্তৃতিঃ
বাংলাদেশের এরা চট্টগ্রাম অঞ্চলের দেখা যায়। এছাড়াও হিমালয় পর্বতমালা, এশিয়ার ভারত, মায়ানমার, চীন,নেপাল ,ভুটান, লাওস সহ অন্যান্য দেশেও দেখা যায়।
অবস্থাঃ
বৈশ্বিক অবস্থা পাখিটি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত এবং বাংলাদেশের অবস্থায় অপ্রতুল-তথ্য।পাখটি অন্য নাম বড় বসন্ত।
বাসস্থানঃ
মার্চ থেকে জুন হল এর বাসা বানাবার সময়। গাছের গুঁড়ি বা ডালের গর্তে বাসা বানায়। সাদা রঙের ৩ থেকে ৪ টি ডিম দেয়।