সানি লিওনের জীবন কাহিনী, প্রেমিক, স্বামী, পরিবার ও জীবনী - Sunny Leone Life Story, Boyfriend, Husband, Family and Biography
করেনজিত কউর ভোহরা সানি লিওন নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং আমেরিকান নারী-ব্যবসায়ী, মডেল এবং প্রাক্তন পর্ণোতারকা।
সানি লিওনের জন্ম ১৯৮১ সালের ১৩ ই মে অন্টারিওর সারনিয়াতে, শিখ পাঞ্জাবী পিতামাতার মধ্যে। যদিও শিখ হওয়া সত্ত্বেও তিনি ক্যাথলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি ১১ বছর বয়সে একটি ছেলের সাথে প্রথম চুম্বন অনুভব করেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি অন্য একটি ছেলের সাথে কুমারীত্ব হারিয়েছিলেন, যিনি একজন বাস্কেটবল খেলোয়াড়। তিনি ১৯৯৯ সালে স্নাতক শেষ করেন। তার বাবা তিব্বতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দিল্লিতে বেড়ে ওঠেন এবং মা হিমাচল প্রদেশের। লিওনের মা ২০০৮ সালে এবং বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
কর্মজীবন :
পর্নো শিল্পে কাজ করার পূর্বে, তিনি প্রথমে একটি জার্মান বেকারিতে কাজ করতেন। এরপর জিফি লুবে এবং পরবর্তীতে একটি ট্যাক্স এবং রিটায়ারমেন্ট ফার্মে কাজ করেন। ২০০২ সালে এডাল্ট এন্টারটেনমেন্ট এক্সপোতে তাঁর প্রথমদিকের প্রচারমূলক উপস্থিতি।
অরেঞ্জ কাউন্টিতে পিডিঅ্যাট্রিক নার্স হিসেবে অধ্যয়নকালে জন স্টিভেনসের সাথে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন এক বহিরাগত নৃত্যশিল্পী সহপাঠী। স্টিভেনস যিনি একজন এজেন্ট ছিলেন, পরবর্তীতে পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের আলোকচিত্রী জে অ্যালেনের সাথে লিয়নের পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবনের জন্য একটি নাম ঠিক করতে, তিনি আসল নাম হিসেবে সানি নামটি উল্লেখ করেন এবং লিয়ন নামটি ঠিক করেন পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের সাবেক মালিকবব গুচ্চিওনে। পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের জন্য পেন্টহাউস পেট অব দ্য মান্থ হিসেবে মার্চ ২০০১ সংখ্যার জন্যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। পরবর্তীতে হলিডে ফিচারে হাস্টলার হানি হিসেবে হাস্টলার ম্যাগাজিনের ২০০১ সংস্করণে অনেকগুলো ম্যাগাজিনের কাভার গার্ল হবার সুযোগ পান। এর মধ্যে রয়েছে, চেরি, মায়েস্টিকু ম্যাগাজিন, হাই সোসাইটি, শয়ান্ক, এভিএন অনলাইন, লেগ ওয়ার্ল্ড, ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এবং লোরিডার। এরপর তাঁর অনলাইন ক্রেডিটে মডএফএক্স মডেলে হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন সুসে রান্ডাল, কেন মার্কাস এবং ম্যাক এ্যন্ড বাম্বেল। তিনি সচিত্র ক্রেডিটে আদ্রিয়ানা সেজ, জেনা জেমসন, জেলেনা জেনসেন এবং আরিয়া জিওভান্নি ছাড়াও বিভিন্ন তারকাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পান।
২০০৩ সাল সানির ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট শুরু হয়। তিনি নির্বাচিত হন ‘পেন্টহাউস পেট’। এ বছরই পর্ণো ছবির অন্যতম সেরা
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভিড ইন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তবে চুক্তির শর্ত অনুসারে কেবল লেসবিয়ান চরিত্রেই অভিনয় করতে থাকেন তিনি। সানি অভিনীত প্রথম ছবিটি বের হয় ‘সানি’ নামেই ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারেই বের হয় পরের ছবিটিও। নাম ‘ভার্চুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওন’। এভাবে কোনো অভিনেত্রীর নামে ছবি প্রকাশের ঘটনা ভিভিডের ইতিহাসে এটাই প্রথম। এখানে তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেন মিকালা মেনডেজ এবং ডেইজি ম্যারি। এই ছবিটি তাকে এনে দেয় ‘এভিএন’ সম্মাননা।
ব্রাজিলে রিলিজ হয় ‘সানি ইন ব্রাজিল’এবং ‘দ্য সানি এক্সপেরিমেন্ট’। ছবিগুলো ২০০৭ সালে বাজারে রিলিজ করে ভিভিড।
২০০৭ সালের মার্চ মাসে আবারও সানির সঙ্গে চুক্তি করে ভিভিড। চুক্তির আওতায় ছয়টি ছবিতে অভিনয় করেন সানি লিওন। আর এবারই প্রথম কোনো পুরুষ অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে সম্মতি জানান তিনি। সানির বাগদত্তা ম্যাট এরিকসন এই ছবিতে তার
কো-আর্টিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পুরুষের সঙ্গে প্রথম যে ছবিটিতে তিনি অভিনয় করেন সানি সেটির নাম ‘সানি লাভস ম্যাট’। ছবিটি তাকে ২০০৯ সালের সেরা নারী অভিনেত্রীর পুরষ্কার এনে দেয়। একসঙ্গে কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের পর সানি উপলব্ধি করেন ম্যাটের সঙ্গে টানা অভিনয় বাজারদর কমিয়ে দিচ্ছে। এবার তিনি অন্য অভিনেতাদের সঙ্গেও অভিনয় করতে শুরু করেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন টমি গান, চার্লস ডেরা জেমস ডিন প্রমুখ।
ব্যক্তিগত জীবন:
সানি লিওন ২০০৮ সালে খুব অল্প সময়ের জন্য কৌতুকাভিনেতা রাসেল পিটার্সের সাথে একটি সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। তিনি বিবাহ এবং একটি পরিবার শুরু করতে খুব আগ্রহী ছিলেন। প্লেবয় এন্টারপ্রাইজে বিপণনের সহ-সভাপতি ম্যাট এরিকসনের সাথে তার যৌন সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে তিনি ড্যানিয়েল ওয়েবারকে বিয়ে করেন।