![মির্জা আব্বাস এর বয়স,শিক্ষা ও জীবনী - Mirza Abbas Age, Education and Biography মির্জা আব্বাস এর বয়স,শিক্ষা ও জীবনী - Mirza Abbas Age, Education and Biography](https://agami24.com/uploads/2023/12/photos/mirza-abbas-former-mayor-of-dhaka-6575aa177bf1c.webp)
মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ এর বয়স,শিক্ষা ও জীবনী - Mirza Abbas Uddin Ahmed Age, Education and Biography
মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ যিনি মির্জা আব্বাস নামে অধিক পরিচিত, হলেন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও তৎকালীন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য।
প্রারম্ভিক জীবন
মির্জা আব্বাস ১৯৫১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক ও মাতার নাম কমলা খাতুন। স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি ১৯৬৬ সালে তৎকালীন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাণিজ্য শাখা থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
পারিবারিক জীবন
মির্জা আব্বাস ১৩ জানুয়ারি ১৯৮৩ সালে আফরোজা আব্বাসকে বিয়ে করেন। আফরোজা বিএনপির অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। এই দম্পতীর ২ ছেলে ও ১ মেয়ে।
কর্মজীবন
মির্জা আব্বাস কর্মজীবনের প্রথমে মির্জা এন্টারপ্রাইজ নামে তাদের পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হন। তিনি ঢাকা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালে তাকে ঢাকা ব্যাংকের বিকল্প পরিচালক হিসেবে অফিসিয়ালি পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালের ২৯ মার্চ তিনি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন।
আব্বাস, ঢাকার শাহজাহানপুরে ১৯৮০ সালে নারী শিক্ষার জন্য মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজনৈতিক জীবন
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠনের পর মির্জা আব্বাস এ দলে যোগদান করেন এবং তিনি দলটির প্রথমদিককার একজন নেতা।
১৯৮০-এর দশকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
তিনি ২০ মার্চ ১৯৯১ থেকে ১৯ মে ১৯৯১ পর্যন্ত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯ মে ১৯৯১ সালে তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নিযুক্ত হন। ২৮ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯ মার্চ ১৯৯৬ থেকে ৩০ মার্চ ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি বিতর্কিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের ভূমিমন্ত্রীর পাশাপাশি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।
১ অক্টোবর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
১১ অক্টোবর ২০০১ থেকে ২৭ অক্টোবর ২০০৬ পর্যন্ত তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়কালেই ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধিত আইন পাশ হয়।
আব্বাস ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মামলার কারণে ও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন নাই।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি পরাজিত হন।