
মাহমুদ আব্বাস এর জীবনী - Biography of Mahmud Abbas
মাহমুদ আব্বাস,আরবি: مَحْمُود عَبَّاس, Maḥmūd ʿAbbās, এছাড়া তিনি কুনিয়াত আবু মাজেন নামেও পরিচিত (আরবি: أَبُو مَازِن, 'Abū Māzin), হলেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতি। তিনি ১১ নভেম্বর ২০০৪ থেকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর সভাপতি এবং ১৫ জানুয়ারি ২০০৫ থেকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি (১৫ জানুয়ারি ২০০৫ থেকে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের এবং ৮ মে ২০০৫ থেকে ফিলিস্তিনের)। আব্বাস ফাতাহ পার্টির একজন সদস্য।
মাহমুদ আব্বাস ২০০৩ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এর পূর্বে তিনি পিএলও সমঝোতা বিষয়ক অধিদপ্তরের নেতৃত্বে ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
জন্ম: ১৫ নভেম্বর ১৯৩৫ (বয়স ৮৮) Safed, Mandatory Palestine
রাজনৈতিক দল: ফাতাহ
দাম্পত্য সঙ্গী: আমিনা আব্বাস
সন্তান: মাজিন আব্বাস,ইয়াসির আব্বাস, তারেক আব্বাস
বাসস্থান: Ramallah, West Bank
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়, প্যাট্রিস লুমুম্বা পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি
ব্যক্তিগত জীবন
মাহমুদ আব্বাস ১৯৩৫ সালের ২৬ মার্চ মেন্ডটরি ফিলিস্তিনের (বর্তমানে ইসরায়েল) গালিলি অঞ্চলের সফেদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় তার পরিবার সিরিয়াতে গমনে করে। মিশরে যাওয়ার পূর্বে আব্বাস দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন, সেখানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন।
রাষ্ট্রপতিত্ব
আব্বাসের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহবান সত্ত্বেও নির্বাচনের পর সশস্ত্র গোষ্ঠীর অব্যাহত আক্রমণ তার কর্তৃত্বের একটি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছিল। ফিলিস্তিনের ফিলিস্তিনি ইসলামী জিহাদ আন্দোলন ১২ জানুয়ারি ২০০৫ সালে একটি অভিযান শুরু করে, যাতে ১ জন ইসরায়েলি নিহত ও তিনজন আহত হয়। ১৩ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি আল আকসা মার্টিয়ার্স ব্রিগেড, হামাস ও পপুলার রিসাইডেন্স কমিটি কার্নি ক্রসিংয়ে আত্মঘাতী হামলা পরিচালনা করে ছয়জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে। এর ফলে ইসরায়েল ক্ষতিগ্রস্ত টার্মিনাল বন্ধ করে দেয় এবং আব্বাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, জানায় যে, আব্বাসকে এসব হামলা বন্ধের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ মনোভাব দেখাতে হবে। ১৫ জানুয়ারি, আব্বাস পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে এক জমকালো অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।
২০০৫ সালের ৯ আগস্ট, আব্বাস আইনসভা নির্বাচনের ঘোষণা দেন, যা মূলত ১৭ জুলাই হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০ আগস্ট তিনি ২৫ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
১৫ জানুয়ারি ২০০৬ সালে আব্বাস চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় যে গাজায় অস্থিরতা সত্ত্বেও নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হবে না, যদি না পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ভোট দান প্রতিরোধ করার সিন্ধান্ত দিয়েছিল। নির্বাচনে হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়।
১৬ জানুয়ারি ২০০৬ তারিখে আব্বাস ঘোষণা করে যে সে তার দায়িত্বে দ্বিতীয় মেয়াদে আসতে পারবে না।
২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি মাহমুদ আব্বাসের প্রকৃত নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হয়।