ওমর ফারুক চৌধুরী-Omor Faruk Chowdhury
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
ওমর ফারুক চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা তিনি এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
কর্মজীবন
পেশায় আইনজীবী ও পরামর্শক ওমর ফারুক চৌধুরী রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, তিনি একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। কিছু ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার নির্দেশ এবং একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তাই ১০ মার্চে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ অবধি তিনি যেন এলাকায় না যান। যদিও ফারুক এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
রাজনৈতিক জীবন
এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় আসার সময় ওমর ফারুক শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা নাজিউর রহমান (মঞ্জু) এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য হলে ওমর ফারুক দল বদল করেন। জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন যুব সংহতির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ওমর ফারুক চৌধুরী নাজিউর রহমানের ভায়রা ভাই এবং শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।
এরশাদ সরকারের পতনের পর কিছুদিন নীরব ছিলেন ওমর ফারুক। ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলে তিনি সদস্য হন। ১৯৯৭ সালে তিনি উত্তর জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। ওই কমিটির মেয়াদ ছিল ২০০৪ সাল পর্যন্ত।
২০০৩ সালে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ওমর ফারুক। এর আগের কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর ২০১২ সালে হন চেয়ারম্যান।