এম এ ওয়াজেদ মিয়া এর জীবনী - Biography of M. A. Wazed Miah
M. A. Wazed Miah

এম এ ওয়াজেদ মিয়া এর জীবনী - Biography of  M. A. Wazed Miah

বাবার নাম: আব্দুল কাদের মিয়া

মায়ের নাম: ময়েজুন্নেসা

জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২

ধর্ম: ইসলাম

জন্মস্থান: ফতেহপুর, পীরগঞ্জ উপজেলা, রংপুর

বর্তমান বয়স: ৬৭

পেশা: পরমাণু বিজ্ঞানী

দাম্পত্য সঙ্গী: শেখ হাসিনা

সন্তান: সজীব ওয়াজেদ জয়,সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা পরমানু বিজ্ঞানি , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। তিনি বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ।

জন্ম

ডঃ এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনাম সুধা মিয়া। তিনি ১৬ফেব্রুয়ারী ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা আব্দুল কাদের মিয়া এবং মাতা ময়েজুন্নেসা। তিন বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ।

শিক্ষা জীবন

গ্রামের প্রাইমারি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে, পীরগঞ্জ থানার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে তিনি ১৯৫২ সালে রংপুর জিলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে সেখান থেকেই তিনি ডিসটিনকশন সহ প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন।

১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।

১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন ।

১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

১৯৬৫ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম শ্রেণীর এই বিজ্ঞানী তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরী জীবন শুরু করেন। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ইতালির খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র তাঁকে ‘এ্যাসোসিয়েটশীপ’ প্রদান করে।

১৯৬৯ সালের নভেম্বর থেকে ৭০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরে ‘ড্যারেসবেরি নিউক্লিয়ার ল্যাবরেটরি’তে পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লীর ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন ।

বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। ১৯৬১ সালের প্রথম দিকে ছাত্রলীগে যোগ দেন। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর প্রথম সাক্ষাত হয়। ওই বছরই আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন ড. ওয়াজেদ মিয়া। আজন্ম সৎ, সম্পূর্ণ নির্লোভ, নিভৃতচারী ও নিখাদ দেশ্রপ্রমিক এই পরমাণু বিজ্ঞানী

পারিবারিক জীবন

১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের সময় ড. ওয়াজেদ মিয়া জার্মানিতে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা থাকায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। এই বিজ্ঞানীর দু’সন্তান। বড় ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় পেশায় সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা। ছোট মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে দেশ-বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করছেন।

লেখালিখি ও প্রকাশনা

এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্নাতক পর্যায়ের বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ইংরেজিতে লেখা গ্রন্থদ্বয়ের নাম Fundamentals of Thermodynamics এবং Fundamentals of Electromagnatics। তার অন্যতম গ্রন্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ৪৬৪ পৃষ্ঠার সুপরিসর এই গ্রন্থে বাংলাদেশের বহু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। তার আরেকটি গ্রন্থের নাম বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র যা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড কর্তৃক ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

স্বীকৃতি ও প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশের রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রাণপুরুষ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিজ্ঞান গবেষণার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহত বিজ্ঞানাগার, এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

নাটোরে প্রস্তাবিত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

মৃত্যু

২০০৯ সালের ৯ই মে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৬৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

আরজ আলী মাতুব্বর এর জীবনী-Biography of Arj Ali Matubbar
দিয়েগো মারাদোনা এর জীবনী - Biography of Diego Maradona
মিজানুর রহমান আজহারী-Biography Of Mizanur Rahman Azhari
আহমেদ আকবর সোবহান
ফারজানা ব্রাউনিয়া এর জীবনী Biography of Farjana Brownie
হাসানুল বান্নার জীবনী - Biography of Hasanul Banna
মোস্তফা জামান আব্বাসী
আইরিন খান এর বয়স, শিক্ষা ও জীবনী-biography of Irene Khan
জামাল আবদেল নাসের এর জীবনী - Biography of Gamal Abdel Nasser
অশ্বিনীকুমার দত্ত এর জীবনী - Biography of Ashwinikumar Dutta