নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বলেন লাশটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাতে স্বজনরা মর্গে গিয়ে নিশ্চিত করেন, লাশটি অভিনেত্রী শিমুর।
ওসি বলেন, শিমুকে অন্য কোথাও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এরপর লাশটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে গুম করার জন্য সেতুর পাশে ফেলে রাখা হতে পারে।
সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এরপর শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলা নোবেলের বন্ধু ফরহাদকেও আসামি করা হয়েছে।
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এ সময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিনেত্রী শিমুর লাশ গুম করতে তাঁর স্বামীকে বন্ধু (স্বামীর) ফরহাদ সহায়তা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো মারুফ হোসেন সরদার। পুলিশ বলছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।