Raima Islam Shimu
রাইমা ইসলাম শিমু
১৯৯৮ সালে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে বরিশালের মেয়ে রাইমা ইসলাম শিমুর। তার প্রথম সিনেমা কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’। যেখানে তিনি অভিনয় করেন তখনকার জনপ্রিয় তারকা মান্না, মৌসুমী, ডিপজল প্রমুখের সঙ্গে। এরপর ছয় বছরে একে একে অভিনয় করেছেন ২৩টিরও বেশি সিনেমায়। তিনি অভিনয় করেছেন রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানসহ অনেক গুণী ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের বিপরীতে।
রাইমা ইসলাম শিমু ২০২০ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ১৮ থেকে ২২টি সিনেমায় অভিনয় করেন।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায়। ফলে এই সময়ের দর্শকদের কাছে তিনি ততটা পরিচিত নন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ জন সদস্যদের একজন ছিলেন শিমু। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন বেশ সক্রিয়। স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে শিমু রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন।
নায়িকার বস্তাবন্দি দ্বি-খণ্ডিত দেহ উদ্ধার
অভিনেত্রীর বোন ফাতেমা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে শ্যুটিংয়ের জন্য বাড়ি থেকে বার হন শিমু, তাঁকে ফোনে না পাওয়া গেলেও শুরুতে সন্দেহ করেনি সন্তানেরা। ভেবেছিল শ্যুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত মা। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও বাড়ি ফেরেনি শিমু, বন্ধ ছিল মোবাইল, এরপর ওই দিন রাতে থানায় জেনারেল ডাইরি করা হয় পরিবারের তরফে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হল অভিনেত্রীর দ্বিখণ্ডিত দেহ। ঢাকার গ্রিনরোডে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন শিমু।
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সন্দেহভাজন তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের কেরানীগঞ্জ থানায় নেওয়া হয়। এর আগে র্যাব তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সোমবার দুপুরে হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ টুকরা করে ওই দুই বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বস্তার ভেতর থেকে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে শিমুর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমুর নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম খোকন জানান, প্রথম আসামি আমার বোন জামাই নোবেল। সে এবং ফরহাদ নামের একজন এ কাজ করেছে। তাদেরকে র্যাব গ্রেফতার করেছে, কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি আমাদের হেল্প করেছেন। এর আগে আমার কাছে লাশ শনাক্ত করার জন্য একটা ফোন আসে কেরাণীগঞ্জ থেকে। সেখানে গিয়ে আমার বোনের লাশ শনাক্ত করেছি আমি নিজে।